এবার কাঠের ট্রাম বাঁচাতে এগিয়ে এল ট্রামপ্রেমী মানুষ ও পড়ুয়ারা
কলকাতার ঐতিহ্যের প্রতীক ট্রামকার। আর প্রথম দিকে এই ট্রামগুলি হত কাঠের । ব্রিটিশ আমলে অত্যন্ত ভালো জাতের কাঠ ব্যবহার করে তৈরি করা হত ট্রামকার । আর সেই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোগী হল ট্রামপ্রেমী মানুষ ও পড়ুয়ারা ৷
কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর : কাঠের ট্রাম বাঁচাতে ও সেগুলি সংরক্ষণের দাবিতে এবার এগিয়ে এল ট্রামপ্রেমী মানুষ ও পড়ুয়ারা ৷ গতকাল ক্যালকাটা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন , সিলভার পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়ারা কালীঘাট ট্রাম ডিপোর সামনে জমায়েত করে ।
ঐতিহ্যের প্রতীক ট্রামকার। আর প্রথম দিকে এই ট্রামগুলি হত কাঠের । ব্রিটিশ আমলে অত্যন্ত ভালো জাতের কাঠ ব্যবহার করে তৈরি করা হত ট্রামকার । আর তার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর হল ট্রামপ্রেমী মানুষ ও পড়ুয়ারা ৷ ট্রাম গবেষক দেবাশিস ভট্টাচার্য ক্যালকাটা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "তৎকালীন ট্রাম কম্পানির যেসব ঐতিহ্যবাহী কাঠের ট্রাম ছিল সেগুলি এখন একের পর এক ভেঙে ফেলা হচ্ছে ৷ এই কাঠের ট্রামগুলি আমাদের শহরের ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ৷ পাশাপাশি আগের মডেলের ট্রাম্প কার এখন আর দেখা যায় না বললেই চলে ৷ প্রথম দিকের কথা বাদ দিলে তার পরের দিকে যেসব ট্রামগুলি ছিল সেগুলির সংখ্যাও ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে ৷ বিষয়টি আমরা চিঠির মাধ্যমে ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনকে জানিয়েছি ৷ তবে তাদের থেকে কোনওরকম সদুত্তর মেলেনি ।"
তিনি আরও বলেন , "এর মধ্যে এমন বহু ট্রাম রয়েছে যেগুলি 1930 ও 1940-র । তাই এই ট্রামগুলির ঐতিহাসিক মূল্যায়নের দিকটা বলে বোঝানো যাবে না । তাই শহরের ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে এই ট্রামগুলিকে খুব তাড়াতাড়ি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন । বর্তমানে যে ট্রামগুলি চলাচল করে সেগুলি সবই লোহার । ধর্মতলায় যে ট্রাম মিউজ়িয়ামটি রয়েছে সেটি দেখলে প্রথম দিকের কাঠের তৈরি ট্রামগুলি ঠিক কেমন ছিল তার একটা সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।"
আর এক সদস্য সাগ্নিক গুপ্ত বলেন , "এই ট্রামগুলির সংখ্যা যদি একে একে হ্রাস পায় তাহলে সেগুলির সঙ্গে আমাদের শহরের একটা বিরাট অংশের ইতিহাসও মুছে যাবে । এই ট্রামগুলির সংখ্যা কমতে কমতে এখন প্রায় 25 থেকে 30টি-তে এসে ঠেকেছে। তাই আমাদের দাবি হল যে , আর যেন এই ট্রামগুলি বাতিল করা না হয় । একটি মিউজ়িয়াম তৈরি করে সেগুলির সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হোক ।"