কলকাতা, 14 নভেম্বর: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের পর সন্দেহভাজন একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় সোমবার ৷ সেই শাহাবুদ্দিন লস্করের মেয়ে রুবিয়া লস্করের দাবি যে তাঁর বাবা সক্রিয়ভাবে রাজনীতি না করলেও বরাবর ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে ৷ ফলে এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তাহলে কি দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই প্রাণ গেল তৃণমূলের সইফুদ্দিন লস্করের ?
যদিও তা মানতে নারাজ রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন ৷ তাঁর দাবি, শাহাবুদ্দিনের পরিবার কারও প্ররোচনাতেই এমন মন্তব্য করছেন কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না বলেই তৃণমূলের শাসনকালে আমাদের নেতা-নেত্রীরাই বেশি খুন হচ্ছেন ।’’
উল্লেখ্য়, সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নমাজ পড়তে যাওয়ায় সময় খুন হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর ৷ সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে চলে এসেছে ৷ ওই তৃণমূল নেতার পিছু ধাওয়া করতে দেখা গিয়েছে দু’টি বাইককে ৷ ঘটনার পরই এলাকার লোক শাহাবুদ্দিন নামে একজনকে পিটিয়ে খুন করে ৷ অভিযোগ, সইফুদ্দিন খুনে তিনি জড়িত ছিলেন ৷ পিটিয়ে মারার ঘটনাকে জনরোষ হিসেবেই দেখছেন শান্তনু সেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা সইফুদ্দিনকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ধরেছে এবং একজনকে জনরোষের শিকার হতে হয়েছে ।’’
পরে এলাকায় বহু মানুষের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ অভিযোগ, বেছে বেছে সিপিএম কর্মীদের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে ৷ এই ঘটনা নিয়ে সোমবারই সরব হয়েছিল বিরোধীরা ৷ খুনের ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা ৷ নিহত শাহাবুদ্দিনের মেয়ের দাবির পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই মাথাচাড়া দিচ্ছে ৷
যদিও এ দিন তৃণমূলের তরফে এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে ৷ শান্তনু সেন বলেন, "বিরোধীরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক চক্রান্ত করছে । আমরা আগেও দেখেছি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বদের এবং কর্মীদের বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্তে কীভাবে হত্যা করা হয় । রাজনীতিক লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না বলে বিরোধীরা সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করছে । এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয় ।"