কলকাতা, 13 এপ্রিল: কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয়তার কথা বৃহস্পতিবার উল্লেখ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ আর তার কিছুক্ষণ পরই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি টুইট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ৷ প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ ?
যদিও কুণাল টুইটে কারও নাম করে অভিযোগ করেননি ৷ কিন্তু তিনি যা লিখেছেন, তাতে স্পষ্ট যে তিনি কোনও একজন বিচারপতিকেই নিশানা করেছেন ৷ কুণাল লিখেছেন, ‘‘যেভাবে কোনও ক্ষেত্রে বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে নিজের উইশ লিস্ট বলা হচ্ছে, নিজেকে ব্যক্তি প্রচারে হিরো সাজানোর চেষ্টা চলছে, তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে । ওই চেয়ারটা ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন ।’’ আর এখানেই মনে করা হচ্ছে যে কুণাল আসলে এই টুইটের মাধ্যমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত 29 মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সংগঠনের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে ইডি-সিবিআই তাঁর নাম জুড়ে দিতে চাইছে ৷ অভিযুক্তদের উপর তাঁর নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে ৷ তার পরই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছে ইডি ৷ এই নিয়ে আলিপুর আদালতের জেলা বিচারক ও হেস্টিংস থানায় লিখিত অভিযোগ জানান কুন্তল ৷
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এক শুনানিতে ওই চিঠি দেখতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যা য়৷ বৃহস্পতিবারও এই নিয়ে শুনানি হয় ৷ সেখানে আবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ৷ আর তার পরই কুণাল ঘোষ টুইট করে তোপ দাগলেন এক বিচারপতির বিরুদ্ধে ৷ আসলে তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিশানা করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে ৷
আরও পড়ুন:প্রয়োজনে অভিষেককে ডাকতে পারে ইডি-সিবিআই, কুন্তলের চিঠিতে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের