কলকাতা, 25 নভেম্বর: কংগ্রেস অযোগ্য (TMC's Incapable Jibe at Congress) বলেই জাতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে তৃণমূলের । ত্রিপুরা, গোয়ার পর মেঘালয়েও (Meghalaya Political) যখন কংগ্রেসের ঘরে ভাঙন ধরানোর অভিযোগে বিদ্ধ ঘাসফুল শিবির, সেই সময় দলের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’য় (TMC Mouthpiece Jago Bangla) এমনই সাফাই দিতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ৷ তাদের দাবি, কংগ্রেসে ছেড়ে দলে দলে নেতারা যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তাতে তৃণমূলের দোষ নেই ৷ বরং কংগ্রেসেরই উচিত আত্মসমীক্ষা করার ৷ তাদের ব্যর্থতাই দলের নেতাদের তৃণমূলকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য করেছে ৷
বুধবার রাতেই মেঘালয়ের রাজনীতিতে নাটকীয় পটপরিবর্তন ঘটেছে ৷ 11 জন কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে ভিড়ে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma in TMC) ৷ তাতে ভোটযুদ্ধে না গিয়েই রাজ্যে বিরোধী দলের আসনে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু রাতারাতি উত্তর-পূর্বের রাজ্যে তৃণমূলের এই উত্থানকে অভ্যুত্থান হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস নেতৃত্ব । তা নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় জোড়াফুল শিবির এবং মমতার উদ্দেশে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে চলেছেন তারা ।
আরও পড়ুন:Kunal Ghosh on KMC Election : রাজ্যপাল নিকৃষ্ট শ্রেণির বিজেপি ক্যাডার, ধনকড়কে আক্রমণ কুণালের
এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে জবাব দিতে ‘জাগোবাংলা’কে বেছে নেয় তৃণমূল । সম্পাদকীয় বিভাগে ‘অক্ষম কংগ্রেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘কংগ্রেস-সহ অন্য দল থেকে বিভিন্ন রাজ্যের নেতারা যদি কংগ্রেসে যোগ দেন, তাতে তৃণমূলের তো কোনও দোষ থাকতে পারে না ! তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকেই আসল কংগ্রেস বলে মনে করছেন । মনে করছেন, তৃণমূল কংগ্রেসই জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে । কংগ্রেস পারেনি । ব্যর্থ হয়েছে । নিজেদের দোদুল্যমানতায় গোয়া হারিয়েছিল । পঞ্জাবও ঘেঁটেছে ।’