কলকাতা, 9 মে: দেশের জাতীয় গান বা রাষ্ট্রীয় গীত কে লিখেছেন, তা অমিত শাহ জানেন না বলে কটাক্ষ করলেন মহুয়া মৈত্র ৷ মঙ্গলবার একটি টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেসের এই সাংসদ এই বিষয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ৷ একই সঙ্গে অমিত শাহকে তাঁর পরামর্শ, ‘‘দয়া করে আবার স্কুলে ভর্তি হোন ৷’’
প্রসঙ্গত, দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সোমবার তিনি কলকাতায় পৌঁছান ৷ মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্য়ে হাজির হন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে ৷ সেখানে তিনি রবি ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ৷ ওই অনুষ্ঠান সেরে তিনি চলে যান উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ ৷ সেখানে পেট্রাপোল সীমান্তে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন ৷
কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইটারে ওই অনুষ্ঠানের একটি ক্লিপিংস পোস্ট করেছেন ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সারা বিশ্বে একমাত্র ব্যক্তি যিনি দু’টি দেশের রাষ্ট্রীয় গীত লিখেছিলেন ৷
এই ভিডিয়ো পোস্ট করেই মহুয়া লিখেছেন, ভারতের জাতীয় গান বা রাষ্ট্রীয় গীত হল বন্দেমাতরম ৷ যা লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ৷ আর বাংলাদেশের আমার সোনার বাংলা লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ শেষে মহুয়া মৈত্রর কটাক্ষ, ‘‘ঠাকুর শুনলে আপনাকে বলত ‘যা তা’ ৷ দয়া করে আবার স্কুলে ভর্তি হোন ৷’’
প্রসঙ্গত, বন্দেমাতরম ভারতের জাতীয় গান ৷ আর জাতীয় সঙ্গীত হল জনগণমন ৷ যা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জাতীয় সঙ্গীতের বিষয়টিই অমিত শাহ বলতে চেয়েছিলেন ৷ কারণ, ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীতই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ৷ আর সেটা বলতে গিয়েই জাতীয় সঙ্গীতের বদলে জাতীয় গান বলে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের, অমিত শাহ দেশের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা ৷ তার উপর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ তাই তাঁর এই বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত ছিল না ৷ এখন মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন ৷ বিতর্ক তো হবেই৷ এ দিন মহুয়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসও অমিত শাহকে বিঁধে এই নিয়ে টুইট করে ৷
আরও পড়ুন:ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কেউ ভাঙতে পারবে না, বললেন অমিত শাহ