কলকাতা, 21 অক্টোবর:অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি ৷ কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দলীয় এক সাংসদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ মহুয়ার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও তৃণমূলের কোনও নেতাকে এখনও কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি ৷ ফলে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান কী, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে ৷ তবে সরাসরি মহুয়ার পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান না নিলেও, অস্বস্তিকর এই বিষয়টির সঙ্গে তৃণমূল যে সচেতনভাবে দূরত্ব বজায় রাখছে, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে দলের কয়েকজন নেতার কথায় ৷
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এই বিষয়ে দলের কিছু বলার নেই ৷ যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তিনি এই বিষয়ে যা বলার বলবেন ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তৃণমূল নেতা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নিয়ে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাইছে না ৷ তাই এই বিতর্ক থেকে দলগত ভাবে দূরত্ব বজায় রাখছে তৃণমূল ৷
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপি ৷ বঙ্গ বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার কথায়, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল এই বিতর্ক থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে পারে না ৷ যখনই তৃণমূলের কোনও নেতা বিপাকে পড়েন এভাবে দল দায় এড়াতে চায়, কিন্তু তাদের স্পষ্ট করা উচিত যে তৃণমূল মহুয়ার পাশে আছে না নেই ৷
আরও পড়ুন: মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ঘুষের বদলে প্রশ্ন ইস্যুতে মোদি সরকারকে তোপ অধীরের
যদিও এত বিতর্কের পরেও নিজের অবস্থানে অনড় মহুয়া মিত্র ৷ তৃণমূল সাংসদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যে ৷ শনিবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মহুয়া দাবি জানিয়েছেন, আইএনসি সমস্ত সাংসদদের আইডি ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে দেখাক যে, যখন সাংসদদের ব্যক্তিগত সচিব, গবেষক বা ইন্টার্নরা সাংসদদের আইডি ব্যবহার করেন তখন তারা সেখানেই উপস্থিত থাকেন ৷ ভুয়ো ডিগ্রিধারীদের ব্যবহার না করে, আসল তথ্য প্রকাশ করা হোক ৷ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছেন, মহুয়া ভারতে থাকলেও তাঁর সাংসদ লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে দুবাই থেকে ৷ মনে করা হচ্ছে এরই জবাব দিলেন মহুয়া ৷ এমনকি আদানি গোষ্ঠী তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন না তোলার জন্য টাকার ব্যবহার করে থাকে বলেও এদিন একটি টুইটে পালটা কটাক্ষ করেছেন মহুয়া ৷