কলকাতা, 7 অগস্ট: 24 ঘণ্টা যেতে না যেতেই পালটে গেল মত ? শুক্রবার পুরনো স্মৃতি খুঁড়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করে রীতিমতো তুলোধনা করেছিলেন দলেরই সতীর্থ কুণাল ঘোষ ৷ কারা কর্তৃপক্ষ যেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেলে কোনও রকম বাড়তি সুবিধে না দেন, এই দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ৷ শনিবার সেই কুণাল ঘোষই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনও কথা বলতে রাজি হলেন না ৷ অবস্থান বদলের পিছনে কি দলের শীর্ষনেতৃত্বের চাপ (TMC Leader Kunal Ghosh disagree over any comment on Partha Chatterjee) ? রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নটা ।
শুক্রবার, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে 14 দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত ৷ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Arpita Mukherjee) তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে (ED appeals Judicial custody) রেখে জেরা করার আবেদন জানিয়েছিল । এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেয় আদালত ৷
শুক্রবার, 5 অগস্ট: কী বলেছিলেন কুণাল ঘোষ ?
সেদিনই সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বলেন, "সর্বভারতীয় তৃণমূলের কংগ্রেসের মুখপাত্রের বাইরে গিয়ে একজন চক্রান্তবিদ্ধ ভুক্তভুগী হিসেবে আমি আশা করব যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল কাস্টডি হয়, কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে কোনও রকম বাড়তি সুবিধে দেবেন না ৷" এরপর তিনি তাঁর জেলে থাকার সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, "আমার ক্ষেত্রে ঠিক যে যে নিয়ম-আইন তাঁরা মেনেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও সেই সেই আইন কর্তৃপক্ষ যেন মেনে চলেন ৷ এটা আশা করব ৷ প্রথমেই রাজকীয় ভাবে জেলের হাসপাতাল নয়, তাঁকে যেন সেলে গিয়ে ঢোকানো হয় ৷"
আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ, 14 দিনের জেল হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা