কলকাতা, 12 জানুয়ারি: 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে শুরু হয়েছিল দিদিকে বলো কর্মসূচি ৷ সেই কর্মসূচির সুফল 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবির ঘরে তুলেছে বলেই দাবি করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷ ঠিকই একই ভাবে গতকাল, বুধবার শুরু হওয়া দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি কি সফল হবে ?
আশাবাদী তৃণমূল:তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই বিষয়ে আশাবাদী ৷ তাঁদের আশা, এই কর্মসূচির সাফল্য দিদিকে বলোর চেয়েও বেশি হবে ৷ কারণ, ওই কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সরাসরি মানুষের যোগাযোগ তৈরির কোনও বিষয় ছিল না ৷ ফোনেই সকলে অভিযোগ জানাতেন ৷ এবার একেবারে মুখোমুখি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের নেতাদের ৷ আর সেই সুযোগই পঞ্চায়েত ভোটে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সাহায্য করবে বলে মত ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের ৷
কেন আশাবাদী তৃণমূল:গত 11 জানুয়ারি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি মানুষের দরজায় যেতে শুরু করেছেন । বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষোভের খবরও এসেছে ৷ শাসক দলের নেতাদের সামনে পেয়ে অনেকেই নিজেদের অভাব-অভিযোগ তুলে ধরেছেন ৷ তৃণমূলের দাবি, প্রথম দিনেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ । প্রথম দিন 44টি গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে গিয়েছে এই কর্মসূচি । 35টির বেশি বিধানসভাতে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে । সেই কারণেই আশাবাদী তৃণমূল ৷
দুর্নীতির অভিযোগ:গত কয়েকমাসে যে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে, সেখানে কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ৷ কয়লা-গরু-নিয়োগ সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে ৷ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে 100 দিনের কাজের টাকা না পাওয়া, আবাস যোজনার ঘর না পাওয়া নিয়ে যখন সাধারণ মানুষের একাংশের ক্ষোভ ৷