কলকাতা, 15 জানুয়ারি:এই মুহূর্তে জেলবন্দি বালু ওরফে উত্তর 24 পরগনার হেভিওয়েট মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর জেলবন্দি থাকার কারণে নির্দিষ্ট বিধানসভা এলাকা যাতে উন্নয়ন মানচিত্র থেকে বঞ্চিত না-হয় সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সাতজনের এক কমিটি গড়ে তার হাতে উত্তর 24 পরগনা হাবড়ার ওই নির্বাচনী ক্ষেত্রের দায়িত্ব দিল রাজ্যের শাসকদল।
এখনও পর্যন্ত যা খবর এই কমিটিতে রয়েছেন, হাবড়া 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেহাল আলি, হাবড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী, পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নীলিমেশ দাস, তৃণমূল নেত্রী তপতী দত্ত, হাবড়া শহর তৃণমূল সভাপতি সীতাংশু দাস এবং অজিত সাহা। এই সাতজনের কমিটি নিয়েও রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কেন কোনও একজনকে দায়িত্ব না-দিয়ে এতজনকে দায়িত্ব দেওয়া হল।
এক্ষেত্রে মূলত জেলা তৃণমূলের ব্যাখ্যা দু'রকম। প্রথমত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হাবড়াকে হাতের তালুর মতো চিনতেন। ওই এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। কিন্তু অন্য কোনও বহিরাগত নেতা গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে একইভাবে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা মানুষের সঙ্গে যাদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে সেই সমস্ত জনপ্রতিদের উন্নয়নের বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের এক বিধায়ক তথা জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা এই কমিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, বালুদার অনুপস্থিতি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একটা বড় ধাক্কা, তা সন্দেহ নেই । তাই বলে বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছেড়ে দেওয়া হবে না। বরং এটাই বুঝিয়ে দেওয়া হবে উত্তর 24 পরগনা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের গড়। এই সাতজনের কমিটিতে উন্নয়নের কাজ পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ , কারণ তা না-হলে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হত।
আরও পড়ুন:
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ? আমাদের নেতা ? ইডির তলব নিয়ে প্রশ্ন শুনে বিস্ফোরক বালু
- প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের ফোন থেকে বাকিবুরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বালু, খবর ইডি সূত্রে
- বালু মারা গেলে বিজেপি-ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর করব, হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর