কলকাতা, 21 মে: তৃণমূলের দাবি মদন মিত্রের চ্যাপ্টার ক্লোজড ৷ কিন্তু, শাসকপক্ষ বললেই কি ক্লোজড ? বিরোধীরাও নাছড়-বান্দা ৷ শাসকশিবিরকে নিশানা করে বিরোধীদের বক্তব্য, ঠিক বলেছেন মদন ৷ এসএসকেএম-এর বাস্তব চিত্রটাই তুলে ধরেছেন তিনি ৷ আর তাই শনিবার রাতে মদন মিত্রর সঙ্গে বৈঠকে পর তৃণমূল ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড’ বললেও ৷ সত্যিই তা ক্লোজ কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ৷ বিশেষত, ভবানীপুর থানার মদনের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়ার পর ৷
মূল ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত থেকেই ৷ অভিযোগ উঠেছে এসএসকেএম-এ রোগী ভরতি করতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র ৷ তারপর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটান কামারহাটির বিধায়ক ৷ কখনও তাঁর নিশানায় ছিল দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম ৷ আবার কখনও থেকেছেন দলেরই শীর্ষ নেতারা ৷ এমনকি সিপিআইএম আমলের প্রশংসাও করে বসেন তিনি ৷ শনিবারের বেলা গড়াতে তা, স্বাস্থ্য দফতর বনাম মদন মিত্র হয়ে যায় ৷ এসএসকেএম-এর ডিরেক্টর দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে বলেছেন ৷
তবে, পরিস্থিতি কিছুটা বদল হয় রাতে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকের পর ৷ সেই বৈঠকের পর আপাতত মুখে কুলুপ এটেছেন মিস্টার ‘কালারফুল’ ৷ কিন্তু, তাঁর তোলা বিতর্ক থামার নাম নেই ৷ মদনের বক্তব্যের সমর্থনে শাসকদলকে নিশানা চলছেই বিরোধীদের ৷ রবিবার বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেছেন, ‘‘মদন মিত্রের সঙ্গে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে ৷ কিন্তু, তিনি বিভিন্ন সময়ে মুমূর্ষু রোগীদের ভরতির বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন ৷ মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি ৷ এখন যাঁরা তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছেন ৷ তাঁদের অনেকেই এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় না ৷ মদন মিত্র সেক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে ৷’’