কলকাতা, 1 অগস্ট:রাজ্যকে পদে পদে বঞ্চনা করা হচ্ছে ৷ বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের । মঙ্গলবার এই অভিযোগকে সামনে রেখে মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল শাসকপক্ষ । মঙ্গলবার ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের আনা এই মুলতুবি প্রস্তাব ৷ তবে এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পুত্রসম বলায় এবং বিরোধী বিধায়ক অশোক দিন্দাকে 'তুমি' বলে সম্বোধন করায়, মেজাজ হারিয়ে বিধানসভা কক্ষ ছাড়ে বিজেপি।
এদিন শাসক দলের পক্ষ থেকে নির্মল ঘোষ ও তাপস রায় 185 নম্বর ধারায় মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আসেন রাজ্য বিধানসভায় । এক্ষেত্রে শাসকদলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, রাজ্যেকে আর্থিকভাবে বঞ্চনা করছে কেন্দ্র। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটা করে রাজ্যে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
পালটা বিধানসভায় উপস্থিত বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী, হিরণ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপি বিধায়কেরা বারবার এটাই বলার চেষ্টা করেন, রাজ্যের অভিযোগ সত্য নয় । কেন্দ্র রাজ্যকে বঞ্চনা করেনি । এক্ষেত্রে টাকা বন্ধের পিছনে রয়েছে দুর্নীতি । চুরি আটকাতে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । একশো দিনের কাজ অথবা আবাস যোজনা সব কিছুতেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে এদিন দাবি করেন বিরোধী দলনেতা ৷
শুভেন্দুর দাবি, চুরি বন্ধের পদক্ষেপ নিলে এবং যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কেন্দ্র অবশ্যই রাজ্যকে টাকা দেবে । শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট কথা, "অডিট রিপোর্ট জমা দিলেই বরাদ্দ টাকা সম্পূর্ণ দিয়ে দেওয়া হবে ।" এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের স্কিমগুলোর নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে রাজ্য । নাম বদলের কারণেই রাজ্যের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাজ্য সরকার । তাঁর আরও অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে বরাদ্দ টাকা খরচ করা হয়নি । এদিন কেন্দ্রকে লেখা চিঠি তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে । কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তারা এই রাজ্যে তদন্ত করতে এসে সমস্ত গরমিল ধরেছে । রাজ্যের উচিত এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া । তাহলেই তাদের বরাদ্দ তাদের দেওয়া হবে ।