কলকাতা, 19 জুলাই: প্রতিবছরই একুশে জুলাইকে কেন্দ্র করে আর গোটা রাজ্যে একটা আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে । দু'দিন আগে থেকেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ-সহ দূরবর্তী জেলাগুলি থেকে কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা আসতে শুরু করেন ৷ সভা বৃহস্পতিবার হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভরে উঠছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ৷
দলের তরফ থেকে কোভিড বিধি মেনে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । মূলত মালদা এবং মুর্শিদাবাদ থেকে আসা কয়েক হাজার মানুষকে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে(Tmc arrange fooding lodging and medical camp for party workers at Gitanjali Stadium)। মঙ্গলবার দূরবর্তী জেলা থেকে যাঁরা ইতিমধ্য়েই কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন দলের তরফ থেকে তাঁদের জন্য গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে এদিন দুপুরে ভাত, ডাল, আলুভাতে এবং ডিমের ঝোল রান্না করা হয় ৷
আরও পড়ুন :21 জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার পরিকল্পনা এসটিএফের
দলীয় সূত্রে খবর, প্রায় 15 হাজার মানুষকে এখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে । আজ রাতের মধ্যেই এখানে প্রায় 10 হাজার মানুষ চলে আসবেন । এদিন দুপুর পর্যন্ত গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে এসেছেন প্রায় হাজার চারেক মানুষ । তাঁদের থাকা খাওয়ার পাশাপাশি হঠাৎ অসুস্থ হলে যাতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য মেডিক্যাল ক্যাম্পও করা হয়েছে এখানে । সামগ্রিকভাবে এই ক্যাম্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেয়র পারিষদ সুশান্ত ঘোষকে । এছাড়াও দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব যৌথভাবে এখানকার ক্যাম্পের দায়িত্ব সামলাচ্ছে ।
মোটের উপর এদিন থেকে যে উন্মাদনার ছবি দেখা যাচ্ছে গোটা কলকাতা শহর জুড়ে, তাতে স্পষ্ট যে একুশে জুলাইয়ের জন্য তৈরি শহর, তৈরি ধর্মশালা, তৈরি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা অস্থায়ী ক্যাম্প ৷ এবার শুধু একুশের মহাসমাবেশের অপেক্ষা, যেদিন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশাল সংখ্যক মানুষকে বার্তা দেবেন ।
আরও পড়ুন :কেশব দে'র কণ্ঠে 21 জুলাইয়ের প্রচারে গান প্রকাশ টিএমসিপি’র