কলকাতা, 26 মার্চ:আগ্রহী শিল্পী ও শিক্ষানবীশদের টেরোকোটার পাঠ দিতে বিশেষ আয়োজন ৷ সৌজন্যে কলকাতার টেরাকোটা শিল্পী জুঁই মেইন ৷ আগামী 28 থেকে 30 জুন তাঁর স্টুডিয়োতেই টেরাকোটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে (Terracotta Workshop in Kolkata) ৷ প্রশিক্ষণ দেবেন রাজস্থানের মোলেলার বাসিন্দা, জাতীয় পুরস্কারজয়ী টেরোকোটা শিল্পী রাজেন্দ্র কুমার ৷
কলকাতার মল্লিকপুর এলাকায় রয়েছে জুনের স্টুডিয়ো ৷ নাম 'জুঁই'স পটারি স্টুডিয়ো' ৷ শিল্পী জানালেন, গত প্রায় 20 বছর ধরে টেরাকোটার কাজ করছেন তিনি ৷ এই কাজের জন্য নানা জায়গায় ঘুরতে হয় তাঁকে ৷ সেভাবেই জুঁই পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজস্থানের মোলেলা গ্রামে ৷ উদয়পুর লাগোয়া নাট্যদুয়ারা এলাকায় রয়েছে এই গ্রাম ৷ জুঁইয়ের ভাষায়, সেই গ্রাম যেন 'রাজস্থানের কুমোরটুলি' ! গ্রামের ঘরে ঘরে টেরাকোটার কাজ হয় ৷ আমরা বাঙালিরা যখনই টেরাকোটার কথা ভাবি, তখনই আমাদের মানসচক্ষে ভেসে ওঠে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মন্দির ৷ এইসব মন্দিরের অঙ্গসজ্জায় যে টেরাকোটার কাজ করা হয়েছে, তা জগদ্বিখ্য়াত ৷ পর্যটকরা তো বটেই, দেশবিদেশের গবষেকরাও এইসব মন্দির দেখতে আসেন !
এখন প্রশ্ন হল টেরাকোটা আসলে কী ? টেরাকোটা শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে লাতিন ভাষা থেকে ৷ 'টেরা' শব্দের অর্থ মাটি ৷ আর 'কোটা' বলতে বোঝানো হয় পোড়ানো ৷ সেই হিসাবে পোড়ামাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের সামগ্রীকে বলা হয় টেরাকোটা ৷ সাধারণত, আঠালো মাটির সঙ্গে খড়ের মিহি কুচি, তুষ প্রভৃতি মিশিয়ে এক বিশেষ ধরনের কাদামাটি তৈরি করা হয় ৷ সেই কাদামাটি দিয়ে বাসনপত্র থেকে শুরু করে মানুষ বা পশুপাখির পুতুল এবং দেওয়ালে ঝোলানোর মতো ভাস্কর্য গড়ে তোলেন শিল্পী ৷ তারপর তা প্রথমে সূর্যের প্রখর রোদে শুকনো করা হয় এবং তারপর আগুনে পোড়ানো হয় ৷ এভাবেই তৈরি হয় টেরাকোটার নানা সামগ্রী ৷ দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এই ধরনের সামগ্রীর বিপুল চাহিদা রয়েছে ৷