কলকাতা, ৩ এপ্রিল: ফাইনাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে প্রত্যেক দফার ভোটের দু'দিন আগে। তখনই সরকারিভাবে প্রতিটি লোকসভা আসনের স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা জানাবে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন আসার পর নানা ইনডেক্স মিলিয়ে বেড়েছিল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা। সংখ্যাটা ছিল ৩০ শতাংশের আশপাশে। কিন্তু, এখন তা কমতে শুরু করেছে।
বিরোধীদের দাবিই সার, রাজ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৩০ শতাংশেরও কম !
নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর একদফা সর্বদল বৈঠক সেরে নিয়েছেন সব জেলার জেলাশাসকই। বিরোধী এবং শাসকদলের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সর্বদল বৈঠকের মিনিটস রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা গণনা করা হবে।
রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল BJP ও কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের মাধ্যমে যে তালিকা পাওয়া গেছে তাতে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে কম। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় স্পর্শকাতর বুথ ৫০ শতাংশেরও কম ছিল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় সেটি আরও প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। এবার লোকসভা নির্বাচনে যা পরিস্থিতি, তাতে এখনও পর্যন্ত সেই শতাংশ বাড়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। ২০১৪ সালে ভোট ঘোষণার আগে যে পরিমাণ অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত সেই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, অভিযোগের পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ২০১৪ সালের থেকে অনেকটাই কম বলে খবর।
তারপরও কমিশনের তরফে সব জেলার DM-কে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করতে বলা হয়েছে। নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর একদফা সর্বদল বৈঠক সেরে নিয়েছেন সব জেলার জেলাশাসকই। শাসক দল ও বিরোধীদের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, সর্বদল বৈঠকের মিনিটস রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে পাঠাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।