কলকাতা, 20 এপ্রিল : "অন্য রকম" ব্যবস্থাটা নিয়েই ফেললেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, তৃতীয় দফার ভোটে থাকবে না কোনও লাঠিধারী পুলিশ। প্রায় সব বুথেই থাকবে শুধুই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে থাকবে কিছু সশস্ত্র পুলিশ।
কড়া ব্যবস্থা কমিশনের, তৃতীয় দফায় থাকছে না লাঠিধারী পুলিশ - ajay nayak
তৃতীয় দফার ভোটে থাকবে না কোনও লাঠিধারী পুলিশ। প্রায় সব বুথেই থাকবে শুধুই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে থাকবে কিছু সশস্ত্র পুলিশ। সূত্রের খবর, পরের দফাগুলিতে এই ব্যবস্থাই নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
তৃতীয় দফার ভোটে যে অন্য রকম ব্যবস্থা হবে তা জানিয়ে ছিলেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। তারই অঙ্গ হিসেবে 274 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে বাড়িয়ে 324 কোম্পানি করা হয়েছে। সূত্র জানাচ্ছে, এবিষয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের সুপারিশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন কমিশন। রাজনাথ সিং উলুবেড়িয়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, যত বাহিনী লাগবে দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গে। সেই অনুয়ায়ী আরও ৫০ কম্পানি বাহিনী মঞ্জুর করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অর্থাৎ 324 কম্পানি দিয়ে ভোট হবে তৃতীয় দফার। আর আজ ফোর্স ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান চলে যাচ্ছে জেলায় জেলায়। সেই প্ল্যান বলছে, বুথে লাঠিধারী পুলিশ আর থাকবে না।
এতদিন পর্যন্ত এক বুথ বিশিষ্ট নির্বাচন কেন্দ্রে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকত দু'জন লাঠিধারী পুলিশ। দুই বুথ বিশিষ্ট নির্বাচন কেন্দ্রে থাকত হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে চারজন লাঠিধারী পুলিশ। সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে লাঠিধারী পুলিশ থাকত। প্রথম দুই দফায় এই চিত্রই দেখা গেছে। কিন্তু, এবার বদলে যাচ্ছে অবস্থাটা। কারণ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে না। যদি একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া যায়, অল্প কিছু সংখ্যক যে বুথ থাকবে তাতে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী থাকবে। যার সম্ভাবনা খুবই কম। অর্থাৎ ভোটের দিন বুথে রাজ্য পুলিশকে প্রায় ব্রাত্য করে হবে তৃতীয় দফার নির্বাচন। সূত্র জানাচ্ছে আগামী সব দফাতেই এই নিয়ম বলবৎ হবে।