পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মেয়াদ বাড়ল সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেলের, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী - college service commission

কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে ওই সময়ে প্রকাশিত প্যানেলগুলির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, প্যানেলগুলির মেয়াদ বৃদ্ধি মঞ্জুর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। UGC-র অনুমোদনক্রমে ২০১৯-এর মে থেকে অগাস্ট মাসে প্রকাশিত সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেলের বৈধতা চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করল কলেজ সার্ভিস কমিশন।

wbcsc
wcsc

By

Published : Aug 14, 2020, 6:56 AM IST

কলকাতা, 14 অগাস্ট: সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য় সরকার । 2019 এর মে মাস থেকে অগাস্ট মাসে প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়ে কলেজে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেলের বৈধতা চলতি বছর মে থেকে অগাস্ট মাসেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু, কোরোনা আবহে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে লকডাউন থাকায় সেই প্যানেলের উপর কাজ করতে পারেনি কলেজ সার্ভিস কমিশন।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে ওই সময়ে প্রকাশিত প্যানেলগুলির মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, প্যানেলগুলির মেয়াদ বৃদ্ধি মঞ্জুর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। UGC-র অনুমোদনক্রমে ২০১৯-এর মে থেকে অগাস্ট মাসে প্রকাশিত সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের প্যানেলের বৈধতা চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করল কলেজ সার্ভিস কমিশন।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর বলেন, "আমাদের প্যানেলের বৈধতা থাকে ১ বছর। ২০১৯ সালে মে মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত যে সমস্ত বিষয়ের প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলোর মেয়াদ ২০২০ সালের মে থেকে অগাস্টে শেষ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু, কোরোনা প্যান্ডেমিকের জন্য লকডাউনে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেছে। এইজন্য প্যানেলের মেয়াদ আরও চারমাস বাড়িয়ে দেওয়া হল। যে সকল বিষয়ের প্যানেল ২০১৯ সালের মে থেকে অগাস্টের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলোর মেয়াদ ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হল।"

২০১৮ সালে ৪৫-৫০টি বিষয়ে কলেজে সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল কলেজ সার্ভিস কমিশন। ইন্টারভিউ নেওয়ার পর বিষয়ভিত্তিক প্যানেল প্রকাশ করা শুরু হয়। মে মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের প্যানেল প্রকাশ হয়। প্যানেল প্রকাশের পর শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগও করা হয় প্রার্থীদের। প্যানেল অনুযায়ী ওয়েটিং লিস্টও রাখা হয়। যার মেয়াদ থাকে ১ বছর। ওই সময়ের মধ্যে কোনও কলেজে নির্দিষ্ট বিষয়ে, নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে শূন্যপদ তৈরি হলে সেই প্যানেলে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়।

কিন্তু, এই বছর মে থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে যে প্যানেলগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কথা ছিল সেগুলোর উপর কোনও কাজই করতে পারেনি কলেজ সার্ভিস কমিশন। প্যানেলে থাকা প্রার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হন তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে কলেজ সার্ভিস কমিশন আবেদন করে, এই চার মাসের মধ্যে থাকা প্যানেলগুলির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে। সেই আবেদনও মঞ্জুর হয়ে গেছে। ওই সময়কালে প্রায় ২৫-৩০টি বিষয়ের প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। জানা গেছে, সেগুলির মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়ায় ৫৫০ জনের মতো ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থী উপকৃত হবেন।

দীপক কর বলেন, "আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, কোরোনার সময়ে লকডাউন থাকার জন্য যে চারমাস এই প্যানেলের উপর কাজ করা যেত অথচ করা যায়নি, সেটাকে যেন করা যায়। এই লকডাউনের জন্য যেন কেউ বঞ্চিত না হয়।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details