কলকাতা, 2 জুন: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে আমল না দিয়ে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখল কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ। ভক্ত বা দর্শনার্থীরা আপাতত দেখতে পাবেন না কালীঘাটে মাতৃমূর্তির মুখ। আরও কিছুদিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে তাঁদের । যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে সবথেকে সমস্যায় পড়েছেন মন্দির চত্বরে থাকা অসংখ্য পুজোর সামগ্রী বিক্রির দোকান । পরিবার নিয়ে চরম অর্থনৈতিক অনটনে তাঁরা।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন মন্দির, মসজিদ, গির্জা-সহ সমস্ত ধর্মস্থান খুলে দেওয়ার কথা । সেই মতো আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন মন্দিরের পাশে পুজোর সামগ্রী বিক্রি করার দোকানদাররা । কিন্তু সবটাতে জল ঢেলে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত । কোরোনা সংক্রামণের কারণে আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মন্দির । কর্তৃপক্ষের মতে, "এখনই মন্দির খুললে দর্শনার্থীদের ঢল নামবে । সামাজিক দূরত্ব মানবে না কেউ । এর ফলে বাড়বে সংক্রমণ । যদিও আগামী দিন মন্দির কমিটির একটি বৈঠক রয়েছে । সেই বৈঠকে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ।" তবে আর ধৈর্য ধরতে রাজি নন মন্দির চত্বরের দোকানদারেরা । দীর্ঘ দু'মাস লকডাউনে পুজো দেওয়ার যাবতীয় সামগ্রী বিক্রি বন্ধ থাকায় হেঁশেলে টান পড়েছে তাঁদের ।
আপাতত খুলছে না কালীঘাট মন্দির, সংকটে মন্দির সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা - kalighat temple
রাজ্য সরকারের তরফে ধর্মীয় স্থানগুলি খোলার অনুমতি মিললেও আপাতত বন্ধ থাকছে কালীঘাট মন্দির । কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন কোরোনা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাতেই মন্দির খুলছেন না তাঁরা । কিন্তু এরফলে বিপত্তিতে পড়েছেন মন্দির সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা । দীর্ঘ দু'মাস লকডাউনে পুজো দেওয়ার যাবতীয় সামগ্রী বিক্রি বন্ধ থাকায় হেঁশেলে টান পড়েছে তাঁদের ।
মন্দির চত্বরের দোকানদার সুরেশ কুমার ভারতকে বলেন, " আমরা এভাবে আর পারছিনা । পথে মরতে বসেছি । অন্তত পক্ষে মন্দিরটা খুলে দিক।" অপর এক দোকানদার জয়দীপ রায় বলেন, " মন্দির বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ । সবাই বসে আছি আমরা । অপেক্ষা ছাড়া কোনও উপায় নেই।" প্রসঙ্গত, কলকাতার কালীঘাট, চেতলা এলাকা অনেকাংশ রেড জো়নের অন্তর্ভুক্ত । মন্দির খোলার পরে দর্শনার্থীর ভিড় সংক্রমণের সংখ্যা বাড়াতে পারে । সব কিছু বিচার-বিবেচনা করে আপাতত মন্দির খোলায় কর্তৃপক্ষ সায় দিচ্ছে না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।