কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : সামনেই বিধানসভা নির্বাচন । আর তার আগে দাবিদাওয়া আদায়ের আন্দোলনে নেমেছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন । লাগাতার অবস্থান, অনশন, পথে নেমে বিক্ষোভ, মিছিল, অতর্কিতে নবান্ন, বিধানসভা, বিকাশভবন অভিযান সবই হচ্ছে । আজ দুপুরেও শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের বিকাশভবন অভিযানকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয় সল্টলেকে । এবার শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । কী বললেন তিনি?
সল্টলেকে বর্তমানে একাধিক সংগঠনের অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে । আজ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের অবস্থানের 48 তম দিন । চলছে সরকারি অনুমোদিত আন-অ্যাডেড মাদ্রাসা শিক্ষকদের অবস্থানও । স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশমের ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীরাও লাগাতার অবস্থান করছেন । জানুয়ারি মাস জুড়ে প্রায়ই কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষক, মিড-ডে মিল কর্মচারী ও চাকরিপ্রার্থীরা । 13টি স্তরের শিক্ষক ও প্রশিক্ষকরা যৌথভাবে শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের ব্যানারে এসে গত 11 জানুয়ারি নবান্ন অভিযানের চেষ্টা করেন । তারপরে 13 জানুয়ারি পর্যন্ত শহীদ মিনারের ময়দানে অবস্থানও করেন । আবার 27 জানুয়ারি ওই মঞ্চেরই শিক্ষিকারা বিধানসভার নর্থ গেটের উপরে উঠে পড়েন বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে । আজও সল্টলেকে বিকাশভবন অভিযান ঘিরে ঝামেলা হয় । পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় বিক্ষোভকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । আজকের ঘটনার প্রেক্ষিতেই শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় সাংবাদিকদের তরফে ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী পার্শ্বশিক্ষকদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "আমরা সমস্ত বাস্তবতা বিবেচনা করেছি । আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন পার্শ্বশিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা এবং ধাপে ধাপে স্থায়ীকরণের কথা বলেছিলাম । আমরা আজও তাই বলছি । আমরা পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়মিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি । আমরা অর্থ দপ্তর এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, পার্শ্ব শিক্ষকদের ক্ষেত্রে যাতে প্রতি বছর ভাতা বাড়ানোটা প্রযোজ্য হয় । সুতরাং, তাঁদের সব দাবি তো ধাপে ধাপে মিটছে । তাঁরা কেন এখানে বসে আছে? রাজনৈতিক কারণে নিশ্চয়ই বসতে পারে ।"
রাজ্য সরকার শিক্ষকদের জন্য এবং শিক্ষক নিয়োগের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বলেন, "একদিনের জন্যও কারোর বেতন বন্ধ হয়নি । এসএসকে, এমএসকেদের আমরা শিক্ষা দপ্তরের অধীনে নিয়ে এসেছি । শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল । মহামান্য আদালতের রায়ে তা বিঘ্নিত হচ্ছে । যাঁরা আদালতে যাচ্ছেন তাঁরা বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন । ইতিমধ্যেই নির্বিঘ্নে টেট পরীক্ষা হয়েছে 31 জানুয়ারি । অন্যদিকে, 16 হাজার 500 শিক্ষক নিয়োগের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে ।"