যাদবপুর, 30 জুলাই : যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা দফতর সিদ্ধান্তকে নিন্দা করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ বা আলোচনার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। তাতেই ক্ষোভ জানিয়েছে জুটা ৷
উচ্চশিক্ষা দফতরের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল, যাতে বলা হয়েছিল উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শাখার নম্বর দেখে এবং একটি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। সে ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির রেজাল্টের নম্বরের 80 শতাংশ নেওয়া হবে এবং ইন্টারভিউ থেকে 20 শতাংশ নম্বর যোগ করা হবে ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রক্রিয়ার এমনই নিয়ম কার্যকর করতে চায় । কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়ে দেয়, কোনও অবস্থাতেই চলতি নিয়মের পরিবর্তন ঘটানো হবে না ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেছেন, "উচ্চশিক্ষা বিভাগের জবাবের পরে আমরা ভর্তির পদ্ধতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি প্রতিনিধি জুটা জানিয়েছে, উচ্চশিক্ষা দফতরের এই পদক্ষেপ নির্ধারিত উচ্চশিক্ষার মানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করবে এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী স্বায়ত্তশাসনের উপর আঘাত হানবে ৷
যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, ‘'এই মুহূর্তে করোনা প্যানডেমিকের জন্য আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনওরকম বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারব না ৷ কিন্তু আমাদের বিশ্বাস আমরা খুব শীঘ্রই এর প্রতিবাদ জানাব।'
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের ভর্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্রদের বেছে নিতে পারে তাহলে রাজ্যের ইউনিভার্সিটিগুলো বাদ যাবে কেন।’’ আক্ষেপের সুরে তিনি জানিয়েছেন, সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলি কিরকম ভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে, তা অনেক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলি জুন মাসের মধ্যে মধ্যে করে ফেলেছে ।
তাঁর অভিযোগ, ইউজিসি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভর্তি প্রক্রিয়ার মানদণ্ড কিরূপ হবে তা নির্ধারণ করতে ব্যস্ত ৷ অন্যদিকে সেমিস্টারের পরীক্ষাগুলি কিভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা তাদের নেই ৷ এই ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়পক্ষকে বিভ্রান্ত করেছে ।