পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কোরোনা উপসর্গে মৃত রোগীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

ইছাপুরের যুবকের মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । এই প্রথমবার করোনা উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট ।

Calcutta high court
Calcutta high court

By

Published : Jul 14, 2020, 9:30 PM IST

কলকাতা 14 জুলাই : এই প্রথমবার করোনা উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট । ইছাপুরের যুবক শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি দেবাংশু বসাক আরও নির্দেশ দিয়েছেন, ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে । দূর থেকে তাকে দেখতে পারবে তার পরিবার । তবে মৃতদেহ দাহ হবে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থায় । 4 সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি হবে ।

ইছাপুরের নেতাজি পল্লীর বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে চিকিৎসার জন্য একাধিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু তাকে ভরতি নেওয়া হয় না । শেষ পর্যন্ত মেডিকেল কলেজে ভরতি করা হয় । মারা যায় 11 জুলাই । তাঁর বেশ কিছুদিন ধরেই শরীর খারাপ ছিল । 9 তারিখ রাতে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । ওইদিনই ভোর 5 টা নাগাদ তাঁর বাবা-মা কামারহাটি ISI হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু সেখানে ICU ফাঁকা না থাকায় বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন কামারহাটি ISI হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

এরপর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে ওই যুবকের শরীরে নাকি কোরোনা ধরা পড়েছিল বলে জানায় । যেহেতু ওই হাসপাতালে কোরোনা চিকিৎসা হয় না সে জন্য তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয় । সেখান থেকে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সেখানেও চিকিৎসা হয়নি তাঁর । অনেক হয়রানির পর কলকাতা মেডিকেল কলেজে জোর করে শুভ্রজিৎকে ভরতি করে তার বাবা-মা । এই দীর্ঘ হয়রানিতে অক্সিজেন না পেয়ে শুভ্রজিতের অবস্থার অবনতি হয় । এমনকি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরও তিন চার ঘণ্টা ধরে তাদেরকে বাইরে বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ । শুভ্রজিতের মায়ের হুমকিতে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ শুভ্রজিৎকে ভরতি নেয় । ততক্ষণে সব শেষ ।

আজ মামলার শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "একের পর এক হাসপাতালের অমানবিক আচরণের কারণেই 18 বছরের তরতাজা যুবক শুভজিৎকে প্রাণ হারাতে হয়েছে । হাসপাতালের গাফিলতি খতিয়ে দেখে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details