কলকাতা, 14 এপ্রিল : এবছরের নববর্ষ যেন চেনা ছন্দ হারিয়েছে । প্রতিবছরের সেই উৎসব-আনন্দ এবার কোথাও যেন ম্লান । কোরোনার আতঙ্কে কার্যত স্তব্ধ শহর । না দোকানে ভিড় না হালখাতার অনুষ্ঠান, না লক্ষ্মী-গণেশ পুজো । আপাতত ঘরবন্দী হয়েই নববর্ষ পালন করছেন মানুষজন । গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেটসহ শহরের সব ছোটো-বড় বাজার বন্ধ । নেই চৈত্র সেলে দোকানিদের হাঁক-ডাক । নেই নতুন জামাকাপড় কেনার ভিড় । সর্বত্র জনশূন্য । এর জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ।
কলকাতার 100 বছরের পুরোনো বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল বলেন, "ছোটো-বড় সব ব্যবসায়ীরাই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন । এই কথাটি যেমন ঠিক তেমন এই কথাটাও খুব সত্যি যে এই মুহূর্তে লকডাউন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই । তবে আর্থিক ক্ষতির একটা দীর্ঘস্থায়ী ছাপ পড়বে । আমাদের ব্যবসার সার্বিক কাঠামোটা চেনের মতো । ছোট তাঁতি থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী, ডিস্ট্রিবিউটার ও বিক্রেতার উপর নির্ভরশীল । তাই একজন ছোটো শিল্পী থেকে শুরু করে সবার উপরই এর প্রভাব পড়বে । তবে সব থেকে বেশি খারাপ পরিস্থতি ছোটো কারিগরদের । তাঁদের অবস্থা খুব শোচনীয় । তাই আমাদের সংস্থার সব কর্মীদের অনলাইনে টাকা লেনদেন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের পাশে থাকার চেষ্টা করছি ।"