পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ইটাহারে ল্যাবের আড়ালে বিস্ফোরণের ছক কষছিল জঙ্গি বারি? - kolkata

বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল ল্যাবে তল্লাশি চালায় গোয়েন্দারা । সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিস দেখেই কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ধারণা হয়, বারি এবং নিজামউদ্দিনরা এই ল্যাবের আড়ালেই চালাচ্ছিল বিস্ফোরণের ছক ।

জঙ্গি বারি

By

Published : Sep 5, 2019, 5:36 PM IST

Updated : Sep 5, 2019, 5:49 PM IST

কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল ল্যাব । ইটাহারের মারনালের বিশ্বাস মার্কেটের এই প্যাথলজিক্যাল ল্যাবটি চালাত আবদুল বারি । গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ইউনানি চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত নিজামুউদ্দিন খান তার রোগীদের পরীক্ষার জন্য পাঠাতো এই ল্যাবে । গোয়েন্দাদের সন্দেহ ছিল, ল্যাবের আড়ালে চলছে জঙ্গি রিক্রুটমেন্টের কাজ । সেখানেই হত মগজ ধোলাইয়ের পাঠ । সেখানে তল্লাশি চালিয়ে চোখ কপালে ওঠে গোয়েন্দাদের । সেখান থেকে উদ্ধারকৃত জিনিস দেখে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের ধারণা হয়, বারি এবং নিজামউদ্দিনরা এই ল্যাবের আড়ালেই চালাচ্ছিল বিস্ফোরণের ছক । বলা চলে প্রস্তুতি সম্পূর্ণও হয়ে গেছিল । অপেক্ষা ছিল শুধু বিস্ফোরকের । গোয়েন্দারা জেরা করছে বারিকে ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : নিজামউদ্দিনের ডাক্তারির পিছনে চলত মগজধোলাই, আবদুলের ল‍্যাবরেটরির আড়ালে কী?

গতকাল STF-এর ছয় জনের একটি বিশেষ দল প্রথমে ইটাহারের মারনাই এলাকায় জামাত জঙ্গি আবদুল বারির বাড়িতে ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবে তল্লাশি চালায় ৷ সেখানে একটি কাপড়ের পুঁটলি দেখতে পায় তারা ৷ ওই পুঁটলিতেই পাওয়া যায় ডিটোনেটর, ক্যাপাসিটর, বোমা বানানোর স্পলিন্টার, ওয়াচ মেশিন, গ্লুস্টিক, হ্যাক স ব্লেড, ওয়ার কাটার, মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ । অর্থাৎ বিস্ফোরণের প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে । যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি ।

এই সংক্রান্ত আরও খবর : স্বামী জঙ্গি ! মানতে পারছেন না আবদুল বারির বিবি

তদন্তকারী দলটি ইটাহারের গাজ়িহার এলাকায় নিজামউদ্দিনের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় ৷ STF সূত্রে খবর, নিজামউদ্দিনের বাড়ি থেকে একাধিক আপত্তিকর নথি উদ্ধার হয়েছে ৷ সেখানে একটি জুতোর বাক্স থেকে উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ । এছাড়াও পাওয়া গেছে একটি সন্দেহজনক সিম কার্ড । গোয়েন্দাদের ধারণা, এই দুটি ল্যাপটপ এবং সিম কার্ড থেকে পাওয়া যেতে পারে উত্তর দিনাজপুর মডিউলের বিভিন্ন তথ্য । জামাতের এই মডিউল ইতিমধ্যেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ।

জামাত-উল-মুজাহিদিনর নির্দেশেই তৈরি হয়েছিল উত্তর দিনাজপুর মডিউল । এই মডিউলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার আমের ইজ়াজ়ও । এই মডিউলের 2 পাণ্ডা আব্দুল বারি এবং নিজামুউদ্দিন খান । এই দুজন সালাউদ্দিন এবং ইজ়াজ়ের নির্দেশে টার্গেট থাকা যুবকদের দাওয়াত দিত জেহাদের । তারপর চালাত মগজ ধোলাই । সেই কাজ হওয়ার পর মূলত এই দুজনই টার্গেটে থাকা সেই যুবকদের নাম লেখাত জঙ্গি খাতায় । ব্যবস্থা করত তাদের ট্রেনিংয়ের । কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে খবর এমনটাই । জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া কিংবা বাংলাদেশের কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতা উত্তর দিনাজপুরে গেলে তাদের থাকার ব্যবস্থা সহ অন্যান্য ব্যবস্থা করা ছিল বারি এবং নিজামুদ্দিনের কাজ ।

খবর ছিল স্পেশাল টাস্কফোর্সের কাছে । খবর পেয়ে খোঁজ শুরু হয় ওই দুজনের । গত 3 সেপ্টেম্বর সকালে মালদার সামসি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুজনকে । এই সময় তারা রাজ্য ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় ছিল । তবে বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নেওয়া নিজামুউদ্দিনরা কোথায় নাশকতা চালাত, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি গোয়েন্দাদের কাছে । তাদের পরিকল্পনা ঠিক কী তা জানার চেষ্টা চলছে ।

Last Updated : Sep 5, 2019, 5:49 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details