কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি:আবারও অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ৷ কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে (Teenage Girl died by Adenovirus) ৷ ওই কিশোরীর বয়স মাত্র 13 বছর ৷ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে এক আধিকারিক একথা জানিয়েছেন ৷
সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম উর্জাশ্বরী রায়চৌধুরী (Urjaswati Roychowdhury) ৷ সে আদতে খড়্গপুরের বাসিন্দা ছিল ৷ দিন কয়েক আগে হঠাৎই অসুস্থ পড়ে মেয়েটি ৷ স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ধরা পড়ে তার শরীরে থাবা বসিয়েছে ভয়ঙ্কর অ্যাডিনো ভাইরাস ৷ তার জেরে কিশোরীর মারাত্মক শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ৷ উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আনা হয় তাকে ৷ কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীনই মৃত্যু হয় কিশোরীর ৷ ঘটনাটি ঘটে বুধবার ৷
আরও পড়ুন:রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রভাব, হাসপাতাল পরিদর্শনে শিশু সুরক্ষা কমিশন
ওই হাসপাতালের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "মেয়েটির প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ৷ সেই কারণেই গত 15 ফেব্রুয়ারি তাকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ৷ পরে আইসিইউতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ স্বাস্থ্যপরীক্ষায় জানা যায়, সে অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ৷ কিন্তু, বুধবার সকালে মেয়েটি মারা যায় ৷" ওই আধিকারিক আরও জানান, মৃত কিশোরী ছোটবেলা থেকেই মাসকিউলার অ্যাট্রোফিতে আক্রান্ত ছিল ৷
উল্লেখ্য, গত বেশ কিছুদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অ্য়াডিনো ভাইরাস ৷ ইতিমধ্যেই বহু শিশু-কিশোর এই ভাইরাসের কবলে পড়েছে ৷ ঘটেছে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ৷ তারপরও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বলছে, অ্য়াডিনো ভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই ৷ কারণ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে !
অন্যদিকে, তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত যতজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্য়ান্ড এন্টারিক ডিজিজেসে পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে 32 শতাংশের শরীরেরই অ্য়াডিনো ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷
বিষয়টিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের অন্যতম স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ নিয়োগী ৷ তাঁর বক্তব্য, গত কয়েক বছর সকলে করোনা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ছিলেন ৷ ফলে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলেও কেউ বিষয়টি লক্ষ্য করেননি ৷ কিন্তু, এখন করোনার প্রকোপ কমেছে ৷ পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক ৷ ফলে অ্য়াডিনো ভাইরাস নিয়ে আলাদা করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ৷