রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা কলকাতা, 11 অক্টোবর: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির দফতরে ডাকা হয়েছে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি বলেন, "আইন মেনে তদন্তে সাহায্য করলে ভালো। উনি গিয়েছেন, কিন্তু ওনার বাড়ির লোকেরা যাননি।"
একইসঙ্গে কটাক্ষের সুরে বুধবার শুভেন্দু অধিকারী রুজিরা প্রসঙ্গে বলেন, "প্রথমবার না দ্বিতীয়বার জানি না। কখনও বাড়িতে যাচ্ছে, কখনও আসছে, কখনও আদালতে যাচ্ছে ! এইসব লুকোচুরি খেলা চলছে। ওনার বাড়ির অনেককে ডেকেছে। তাঁরা যাননি, তবে উনি গিয়েছেন। তদন্তে সহযোগিতা করলে ভালো।"
এবার টেট পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্য়া অনেকটাই কম। সেই বিষয় নিয়েও রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি বলেন, "সবাই জানে যে চাকরি পাবে না। তাই আবেদন করেননি।" তিনি আরও বলেন, "কেন আবেদন করবে? চাকরি তো পাবে না। কারণ ফেব্রুয়ারি বা মার্চের প্রথম দিকে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হলে, মে মাসের 20 তারিখের মধ্যে সংসদ পুনরায় গঠিত হবে। তাই স্বাভাবিকভাবে ডিসেম্বরের 8 তারিখে পরীক্ষা হওয়ার পরে লোকসভা নির্বাচনের আগে যে ফল প্রকাশ হবে না সেটা সবাই জানে।"
তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, "পরীক্ষার পর তৃণমূল কিছু মানুষের থেকে টাকা তুলবে আর ঘোরাবে। এদের ভোটের কাজে ব্যাবহার করবে।" শুভেন্দু আরও বলেন, "মিছিলে যাওয়ার কথা বলে মানুষগুলোকে ঘোরাবে আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবে। আমি আগেই হিসাব দিয়েছি যে আগের বার টেটে 27 কোটি টাকা উঠেছে। দু'কোটি টাকা পরীক্ষায় খরচ হয়েছে। 25 কোটি টাকা সুপ্রিম কোর্টে এবং হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আইনজীবীদের খরচে ব্যয় করা হয়েছে। যাতে চোর শিক্ষকদের কোর্টের নির্দেশে চাকরি না যায়।"
এর পাশাপাশি এদিন বিজেপির 'স্পোর্টস অ্যান্ড ক্লাব রিলেশন সেল'-এর প্রদেশ কার্যকারী সমিতির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের ক্রীড়া জগতকেও তৃণমূল পারিবারিক সম্পত্তি করেছে বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "পিসি-ভাইপো রাজ্যের সমস্ত কমিটির উপর অধিকার চাই। সিপিএমেরও এত খিদে ছিল না। তারাও রাজ্যের কিছু কিছু জায়গা ছেড়ে রেখেছিলেন। কিন্তু এদের সব চাই। পাহাড় থেকে সাগর।"
আরও পড়ুন: ইডির দফতরে অভিষেক-পত্নী রুজিরা, নিরাপত্তার কড়াকড়ি সিজিও কমপ্লেক্সে
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল নির্লজ্জ। তাই ক্রীড়ার সব ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যের বসিয়েছে। কোথাও বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় আবার কোথাও কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও জায়গাই ছাড়েনি। লুডু খেলার জায়গা দখল করে রেখেছে। তাই মাঠগুলো এবং ক্রীড়া সংগঠনগুলো ক্রীড়াবিদদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই করতে হবে।"