কলকাতা, 30 অক্টোবর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতাকে হাতিয়ার করে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এই কবিতার যে দু’টি লাইনকে প্রশ্নপত্রে ভাব সম্প্রসারণের জন্য দেওয়া হয়, সেই দু’টি লাইন একটু অদল-বদল করে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলকে সোমবার নিশানা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷ এ দিন সকাল 10টা 3 মিনিটে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন ৷ সেখানেই তিনি এই ভাবে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের উদ্দেশ্য়ে ৷
সেই পোস্টের প্রথম লাইনে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হয়, ভবিষ্যতে পরীক্ষা'র খাতায় এই ধরনের প্রশ্নোত্তর দেখা যেতে পারে... ৷’’ এর পর প্রশ্নের জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রশ্ন) ভাবসম্প্রসারণ করো - এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি; / বালুর হস্ত করে সমস্ত রাজ্যবাসীর রেশন চুরি ।’’
উল্লেখ্য, রবি ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার দু’টি লাইন - ‘এ জগতে হায়, সে বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি / রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি’ ৷ স্বাভাবিকভাবে বোঝা যাচ্ছে যে শুভেন্দু নিজের পোস্টে ‘রাজার’ বদলে বালু লিখে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে বুঝিয়েছেন ৷ আর ‘কাঙালের ধন’-এর জায়গায় বসিয়ে দিয়েছেন ‘রাজ্যবাসীর রেশন’ ৷ অর্থাৎ যে রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী, এখানে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷
এখানেই শেষ নয়, পরীক্ষায় ভাব সম্প্রসারণের প্রশ্ন আসে এই দু’টি লাইন দিয়ে ৷ সেখানে কবিতার লাইনের মূল অর্থ প্রথমে লিখতে হয় ৷ তার পর তার ভাব সম্প্রসারণ করতে হয় ৷ নিজের পোস্টে শুভেন্দু অধিকারীও কটাক্ষ মিশিয়ে উত্তরও লিখে দিয়েছেন ৷
বিরোধী দলনেতা উত্তরের ‘মূলভাব’-এ লিখেছেন, ‘‘বালুর সম্পদের প্রাচুর্য আছে, তাই সে চায় তার সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়াতে । এতে সে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিতেও কুন্ঠাবোধ করে না ।’’ তার পর সম্প্রসারিত ভাবের অংশে তিনি কটাক্ষ করে লিখেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বেআইনিভাবে অর্থ রোজগারে দক্ষ ৷ তাঁরা এই ভাবে যত টাকা পান, তত তাঁদের অর্থের নেশা বাড়তে থাকে ৷