কমিশনের দফতরের বাইরে আক্রমণাত্মক শুভেন্দু কলকাতা, 8 জুলাই: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই শনিবার হিংসা চরম আকার নেয়। সারাদিন ধরে চলেছে দেদার বোমা-গুলি। প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে গুলি ছুড়তে দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীদের । এদিন রাত 9টা পর্যন্ত 17 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর এসেছে । সেই তথ্য অবশ্য মানতে চাননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। অন্যদিকে এদিন সন্ধেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে গিয়ে প্রথমে কমিশনের বন্ধ গেটে লাথি পরে নিজেই কমিশনের দফতরের গেটে তালা লাগিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা । সেই সঙ্গে গোটা হিংসা, অশান্তির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দু ।
এদিন কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে সরাসরি পঞ্চায়েত ভোটে ক্রমাগত হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী করেছেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে, গোটা ঘটনার জন্য ফের একবার সিবিআই, এনআইএ তদন্তেরও দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা । তিনি বলেন, "রাজ্যে সহিংসতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । কেন বুথে সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়নি ? আমরা হিংসায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আদালতে যাব । ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের দাবি করব ।"
হিংসা প্রভাবিত এলাকায় 144 ধারা জারি করা উচিত বলেও এদিন দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী । সেই সঙ্গে সিসিক্যামেরা পরীক্ষা করে ফের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পুনর্নির্বাচনেরও দাবি জানান তিনি । তিনি বলেন, "গণতন্ত্র নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে । গণতন্ত্রের কালো দিন আজ, তাই আমরা কালো ব্যান্ড পরেছি। আজকের ঘটনার পর আমরা সিবিআই, এনআইএ তদন্তেরও দাবি করছি। আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মৃতদের 50 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিতে বলব। আজকের হিংসার পর মোট মৃতের সংখ্যা হল 19 ।"
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় মোতায়েন, জানলেনই না নোডাল অফিসার; কমিশনকে কড়া চিঠি
সিসিটিভি ভিজ্যুয়াল পরীক্ষা করারও এদিন দাবি জানিয়েছেন তিনি । একইসঙ্গে, যে এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে এবং যেখানে সিসিটিভি কাজ করছিল না সেখানে পুনরায় ভোটগ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা । তিনি বলেন, "বাংলায় প্রচুর অস্ত্র ও গোলা-বারুদ এসেছে । অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে গুলিতে। কারা এখানে এই অস্ত্র পাঠিয়েছে এবং কারা টাকা দিয়েছে, এই বিষয়ে এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত । অনেক গরিব মানুষ মারা গিয়েছে এই হিংসায় । পুলিশ কী করছিল? অবশ্যই সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত ।"