কলকাতা, 24 মে: সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করে সরকারি অর্থ তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির প্রয়োজনে ব্যবহার করছে, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত এই অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এ দিন এই নিয়ে তিনি একটি টুইট করেছেন ৷ সেই টুইটেই তিনি এই অভিযোগ করেছেন ৷
টুইটের সঙ্গে বিরোধী দলনেতা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তির ছবি পোস্ট করেছেন ৷ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র দফতরের তরফ থেকে ৷ বিজ্ঞপ্তির নির্যাস, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কর্মতীর্থ প্রকল্পে খালি পড়ে থাকা দোকানগুলিকে স্থানীয় ক্লাবগুলিকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ৷
এই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসই ঠিক করে দেবে কোন ক্লাবগুলিকে ওই ফাঁকা স্টল দেওয়া হবে ৷ ফলে সেখানে ঘুরিয়ে তৃণমূলের কাজ হবে ৷ সেখানে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ চলবে ৷ বোমাও মজুত করে রাখা হবে ৷ জেলা প্রশাসনই ওই ক্লাবগুলিকে কার্যত নিয়ন্ত্রণ করবে ৷
বিরোধী দলনেতার আরও অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে দোকান খোলার নাম করে কর্মতীর্থ প্রকল্প চালু করেছিল সরকার ৷ সেই প্রকল্প একেবারেই চলেনি ৷ সেই কারণেই 810টি স্টল এখনও খালি পড়ে রয়েছে ৷ তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের মাল্টি-সেক্টরাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বা এমএসডিপি-র অধীনে বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল ব্যবহার করে কর্মতীর্থগুলি তৈরি করা হয়েছিল । দেশের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলিতে সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই অর্থ দেয় ৷
তাঁর অভিযোগ, সেই টাকাই কর্মতীর্থ প্রকল্পে ব্যবহার করেছে রাজ্য় সরকার ৷ এখন সেগুলিই ক্লাবগুলিকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির কাজে ব্যবহার করতে চায় ৷ তাই এই বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ৷ কেন্দ্রের সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে টুইটে মেনশন করেছেন ৷ আর এই নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ দাবি করেছেন ৷ শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় দল এসে পরিদর্শন করুক ও সিএজি অডিট করুন ৷
আরও পড়ুন:নবান্নে মমতা-কেজরি বৈঠক নিয়ে আক্রমণ শুভেন্দুর, পালটা দিলেন কুণাল