কলকাতা, 17 মে: এগরার বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মমতা। তাঁর বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ শানান শুভেন্দু। পাশাপাশি বুধবার সকালে একটি টুইটে শুভেন্দু জানান, সকাল দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যে এগরার বিস্ফোরণ স্থলে পৌঁছবেন ।
সাংবাদিকদের মমতা বলেন, এগরায় যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি ওড়িশার সীমানার খুব কাছে। আর এই বর্ডার এলাকার নিরাপত্তার ভার সকলের, তাঁর একার নয়। এই প্রসঙ্গে টুইটারে নন্দীগ্রামের বিধায়কের প্রশ্ন, বাংলা-ওড়িশার সীমানা কি কোনও আন্তর্জাতিক সীমান্ত যে এর নিরাপত্তা রক্ষার ভার বিএসএফকে দিতে হবে ?
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের আরও দুটি অংশ তুলে ধরে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। সাংবাদিকের মমতা জানান, এগরার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি মাস দুয়েক আগে তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছে। নির্দল সদস্যকে প্রধান করে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করেছে। অতএব ওই এলাকায় কী হচ্ছে তা বিজেপির হাতে থাকা পঞ্চায়েতের দেখা উচিত। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ওই এলাকায় বিজেপির প্রভাব বেশি বলে তৃণমূলের বিধায়ককে ঘটনার পর ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কি বলতে চাইছেন যে নির্দল বা বিরোধীদের হাতে কোনও পঞ্চায়েত থাকলে সেই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ভার স্বরাষ্ট্র দফতরের নয়, সংশ্লিষ্ট দলের?" এই মর্মে রাজ্য বিধানসভায় কোনও আইন পাস হয়েছে কি না তাও জানতে চান বিরোধী দলনেতা।
বক্তব্যের অন্য একটি প্রসঙ্গে ওই বেআইনি বাজি কারখানার মালিক সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলেন মমতা। জানান, গত অক্টোবর মাসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে আবার একই কাজ শুরু করে অভিযুক্ত। মমতার দাবি, এখন সে ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতার করা হবেই। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর পালটা দাবি, মমতার কথা থেকেই স্পষ্ট এই বেআইনি বাজি কারখানার কথা এগরা থানার আইসি থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পর্যন্ত সবাই জানতেন। তবু কেন সময় থাকতে থাকতে ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাহলে কি বাজি কারখানার মুনাফার একটি অংশ পেত বলেই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ?
আরও পড়ুন: এগরার বিস্ফোরণস্থলে সিআইডি ও ফরেন্সিক দল, করল নমুনা সংগ্রহ