কলকাতা, 9 জুন: সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচির ফোন নম্বর নিয়ে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা ৷ তাঁর দাবি, একই ফোন নম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের দিদিকে বলো কর্মসূচির জন্যও ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়, সেই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি ৷ এই নিয়ে শুক্রবার টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই টুইটেই তিনি এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদীর দিকে ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি ৷ সরকারি তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ সেখানে একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ৷ ওই নম্বরে ছুটির দিন ছাড়া অন্যদিনগুলিতে সকাল 9টা থেকে সন্ধ্যা 6টা পর্যন্ত ফোন করে অভিযোগ বা নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী ৷ সেই ফোন নম্বরটি হল - 9137091370.
আর এই নম্বর নিয়েই আপত্তি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা ৷ শুক্রবার টুইটে তিনি লিখেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের দিদিকে বলো ও রাজ্য সরকারের সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী, দু’টি কর্মসূচিতেই একই ফোন নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ এই নিয়েই তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর দিকে ৷
আরও পড়ুন:সংখ্যালঘু উন্নয়নের অর্থে তৈরি কর্মতীর্থের স্টলগুলি ক্লাবকে দিচ্ছে মমতার সরকার, অভিযোগ শুভেন্দুর
তাঁর প্রশ্ন, আইপ্যাক (ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা) কি নবান্নের দখল নিয়ে নিয়েছে, নাকি আইপ্যাক এখন রাজ্য সরকারের অধীনে চলে এসেছে ? শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা ফোন সরকারি কাজে মানুষের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কে নিলেন আর এই অভিযোগগুলি কে শুনবেন ?
বিরোধী দলনেতার তৃতীয় প্রশ্ন, এই কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করেছে ? তাহলে তা কীভাবে হয়েছে ? শুভেন্দুর চার নম্বর প্রশ্ন হল, নম্বরটি কি স্থানান্তরিত হয়েছে, নাকি এটি এখনও পূর্ববর্তী মালিক বা গ্রাহকের নামেই রয়েছে ? একই সঙ্গে তিনি জানতে চেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই কর্মসূচির জন্য নতুন কোনও পরিকাঠামো কি তৈরি করেছে ? নাকি দিদিকে বলোর পরিকাঠামো দিয়েই এই কাজ করা হবে ?
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করে দেওয়ায় বাংলায় আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়েছে ৷ সেই কারণে রাজ্য সরকার কৌশলে এই কর্মসূচি ভোট ঘোষণার কয়েকঘণ্টা আগেই চালু করেছে ৷ ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সঙ্গেই এই কর্মসূচির বিজ্ঞাপনও তৃণমূলের ফোন নম্বর-সহ চলতে থাকবে সরকারি তরফে ৷ ফলে পুরো খরচ তৃণমূলের বদলে বহন করবে রাজ্য সরকার ৷
তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে নির্লজ্জতা ছাড়া আর কিছু নেই বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা ৷ সেই কারণেই টুইটের শুরুতেই তিনি তা উল্লেখ করেছেন ৷
আরও পড়ুন:বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে মমতার নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী'