কলকাতা, 7 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোসের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা, যা বিগত বেশ কয়েক বছরে বিরল ৷ সোমবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি'লিট উপাধিতে সম্মানিত করে (The St Xavier's University conferred an Hon. DLitt on WB CM) ৷ রাজ্যপাল তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেন ৷ শুধু তাই নয়, ডঃ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ, আবদুল কালাম, উইনস্টন চার্চিল, মহাকবি মিলটনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা টানেন ৷
স্বভাবত এ নিয়ে বেজায় চটেছে গেরুয়া শিবির ৷ বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, "সৌজন্য ভালো, তবে অতি সৌজন্য ভালো নয় ।" এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও টুইট করে রাজ্যপালের বক্তৃতাকে আসন্ন রাজ্য বাজেট অধিবেশনের আগে মহড়া বলে উল্লেখ করেছেন ৷
আরও পড়ুন: মাদার টেরেজার নামে সাম্মানিক চেয়ারের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর, সমর্থনে রাজ্যপাল
শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'গণতন্ত্রের লজ্জা'র সঙ্গে অ্যাডল্ফ হিটলারের আত্মজীবনী 'মেইন ক্যাম্ফ', সাদ্দাম হুসেন বেনিতো মুসোলিনির বইয়ের ছবি পোস্ট করেন ৷ তিনি লেখেন, "কিছু ব্যতিক্রমী সাহিত্যকীর্তি, যা আপনার (রাজ্যপাল) উল্লেখ করা উচিত ছিল ৷ কিন্তু আপনি তা বেছে নেননি ৷" 1943 সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের বাংলায় ভয়াবহ মন্বন্তর দেখা দেয় ৷ এর জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলকে (British Prime Minister, Winston Churchill) কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় ৷ এদিকে রাজ্যপাল তাঁর সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক আসনে বসিয়েছেন ৷ তাই নন্দীগ্রামের বিধায়ক লেখেন, বাংলার মন্বন্তরে 40 লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ এর জন্য দায়ী উইনস্টন চার্চিল ৷ মানুষের ইতিহাসে এটিই নৃশংস গণহত্যা, এ নিয়ে কোনও তর্ক হতে পারে না ৷ "তাই সম্মানীয় রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে মূল্যায়নকে আমি আংশিক সমর্থন করি ৷"
শিক্ষা দুর্নীতি
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগে এমনিতেই বিরোধী শিবিরের তোপের মুখে পড়েছে তৃণমূল সরকার ৷ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক উচ্চাধিকারিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কারাবাসে রয়েছেন ৷ তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি ৷ 2022 সালে 11 ডিসেম্বর ফের টেট পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যে ৷ এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "তার উত্তরপত্র যদি দালালের বাড়ি থেকে পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে লুঠ এখনও অব্যাহত রয়েছে ৷ তৃণমূল যেখানে ছিল, সেখানেই আছে ৷"