কলকাতা, 31 মে: "কেউ ছাড় পাবেন না", টুইট করে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সোমবার লাগাতার 12 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ৷ তারপর রাতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা টুইট করে জানান, শেষে মাস্টারমাইন্ড এবং সবচেয়ে বড় উপভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছেছে আইনের লম্বা হাত ৷ ঘুরপথে পালটা দিতে সময় নেননি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ৷ সরাসরি না বললেও তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার এই গ্রেফতারির নেপথ্যে বিরোধী শিবিরের চক্রান্ত রয়েছে ৷
শুভেন্দুর টুইটের পরেই কুণাল লেখেন, "কী চক্ষুলজ্জাহীনভাবে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস তিনটে দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখাপেক্ষী হয়ে আছে বোঝা গেল ৷" এদিনও তিনি ফের প্রশ্ন তোলেন, নারদ কাণ্ডে সিবিআইয়ের এফআইআরে শুভেন্দুর নাম থাকলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন ? সবমিলিয়ে 'কালীঘাটের কাকু'কে গ্রেফতারির ঘটনায় নতুন করে তোলপাড় রাজনীতি ।
আরও পড়ুন: প্রশ্নের উত্তরে অসংগতি, 12 ঘণ্টা পর 'কালীঘাটের কাকু'কে গ্রেফতার ইডির
কুণাল ঘোষ আরও লেখেন, "কেন সিবিআই, ইডি কাঁথি পুরসভা থেকে সারদার টাকা উদ্ধারে যাচ্ছে না ?" তিনি সারদার প্রাক্তন কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের চিঠির কথা উল্লেখ করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন ৷ উল্লেখ্য, তিনি বহুবার দাবি করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে মোটা টাকার অর্থ নিয়েছেন ৷ এমনকী তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগও তুলেছিলেন সুদীপ্ত ৷ ফের সেই প্রসঙ্গ তুলে কুণালের পালটা দাবি সিবিআই-ইডি সারদা কাণ্ডের টাকা উদ্ধার করতে পারলে সুদীপ্ত সেনের কথা প্রমাণিত হবে ৷ তিনি লেখেন, "টাকা থেকেই প্রমাণ হবে সারদাকর্তার চিঠি ঠিক" ৷
এদিকে শুভেন্দু নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর টুইটে হুঁশিয়ারি দেন, "কাউকে ছাড়া হবে না ৷ শক্তিশালী ব্যক্তিটিকেও জেলে যেতে হবে ৷ সময়ের কাঁটা চলছে ৷" তিনি এর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন ৷ সেখানে একটি সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম এবং ডিআইএন অর্থাৎ ডিরেক্টর আইডেন্টিফিকেশন নম্বরের তালিকা রয়েছে ৷ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার বিস্তারিত বিবরণ তাতে উল্লেখ করা ছিল ৷ এর সঙ্গে শুভেন্দু লেখেন, "কালীঘাটের কাকুর সহযোগীদের সম্পর্কে জানুন ৷"
কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারিতে ঘুরিয়ে কুণাল বাইরন বিশ্বাসের প্রসঙ্গ তুলেছেন ৷ সোমবারই সাগরদিঘির সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ এ নিয়ে দোষারোপের পালা চলছে ৷ কুণালের অভিযোগ, "বাইরন যোগ দেওয়াতে কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি জোট ধাক্কা খেয়েছিল ৷ সেই রাগে এবং নিজেদের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে দিনভর নাটকের পর রাতের উপসংহার নয় তো ? তিন দলের উল্লাস দেখে সেটাই তো মনে হচ্ছে ।"
আরও পড়ুন: তিনটি মামলায় জামিন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের