কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: কথাতেই আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। পাতে মাছ-ভাত না পড়লে বাঙালির রসনা যেন তৃপ্ত হয় না। আর বাঙালি খাওয়া-দাওয়ারের সঙ্গে অনেকটা মিল রয়েছে জাপানি খাবারদাবারেরও। কারণ ওই দেশেও প্রধান খাবারের মধ্যে অন্যতম মাছ ও ভাত। তারমধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার সুশি ৷ যা ভাত আর মাছ ছাড়া ভাবাই যায় না। তাই এবার ভারতীয় যাদুঘরে জায়গা পেল জাপানের সুশি খাবার নিয়ে অভিনব প্রদর্শনী।
ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, জাপান কনস্যুলেট এবং জাপান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই অভিনব প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের অধ্যক্ষ বা ডিরেক্টর অরিজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, খাবারদাবার নিয়ে এই প্রথমবার যাদুঘরে এই ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। জাপান কনস্যুলেট জানিয়েছে, এই খাবারের 1000 বছরের ইতিহাস এখানে তুলে ধরা হয়েছে। প্রায় 150 রকমের সুশির মডেল রাখা হয়েছে এখানে। আগামী 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী।
শহর কলকাতায় চিনা খাবারের রমরমা সর্বত্রই। তবে সেই তুলনায় জাপানি খাবারের দোকান বা রেঁস্তরা হাতে গোনা কয়েকটি। অথচ ভারত এবং জাপান কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ মিত্রতার। অন্যদিকে দুই দেশের মধ্যে আরও একটি বিষয়ে মিল রয়েছে দারুণ ৷ তা হল কলকাতার দুর্গাপুজোর মতোই 2013 সালে জাপানের সুশি ইউনেসকোর হেরিটেজের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৷
মূলত, সুশির ইতিহাস বা গোড়ার কথা থেকে শুরু করে খাবারের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে সুশির কোন পদগুলি সবচেয়ে জনপ্রিয়, সেই গল্প তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীর আকারে। এখানে বিভিন্ন ধরনের সুশির পদ মডেল আকারে রাখা হয়েছে। মডেলগুলি মূলত জাপান থেকেই তৈরি করা পাঠানো হয়েছে। প্লাস্টিক, সিলিকন, ফাইবার গ্লাস, প্লাস্টার অফ প্যারিস এবং অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে একেবারে আসল সুশির মতো মডেল তৈরি করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও সুশি কীভাবে তৈরি করা হয় এবং প্রাচীন কলে কীভাবে এই খাবারের উদ্ভব হয়েছে, তাও অডিয়ো ভিজ্যুয়ালের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।