কলকাতা, 28 জুলাই: 'চোর ধরো জেল ভরো' কর্মসূচি নিয়ে মহামিছিল বঙ্গবিজেপির । মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি'র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা-সহ বহু দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা । কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হয় এই মহামিছিল(BJP Rally) ।
মিছিলের পর ধর্মতলার সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর(CM Mamata Banerjee)পদত্যাগের দাবি জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না-করলে সেপ্টেম্বরে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারি দেন তিনি । সুকান্ত বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)আজ বৈঠক ডেকে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছেন । তবে এই সব করে কোনও লাভ নেই । জনতা বুঝে গিয়েছে এই সরকার চোর । এই সরকারের সঙ্গে যুক্ত সকলে চোর । ইতিমধ্যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়(Arpita Mukherjee)বলে দিয়েছেন এই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের । এই সরকার দায় এড়াতে পারে না । তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী জানিয়েছিলেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পার্থদার কাছে চাকরির জন্য পাঁচটা নাম দিয়ে দিতে । অতএব স্পট বোঝা যাচ্ছে দুর্নীতিতে পুরো সরকার জড়িয়ে ।"
এ দিনের মিছিলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সাজিয়ে এক ব্যক্তিকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মুখোশ পড়িয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে বিজেপি । আইনজীবী ও বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, "সিপিআইএম-এর আমলে এই মদন মিত্র, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যাঁরা বাসে চড়ে ঘুরত সরকারে আসার পরে এদের এক একজনের দশটা করে গাড়ি, বাড়ি হয়েছে । কোথা থেকে হল ? কার টাকা ? আপনাদের কাছে তো কিছুই ছিল না । জবাব দিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এখন তিনি আলকাতরার ঢাকনাই খুলতে পারছেন না । কারণ পার্টির লোকেরা নিজেরাই তাঁর মুখে আলকাতরা মাখিয়ে দিয়েছেন । দলে যত চোর আছে সবার উপরে ছাতা ধরে আছেন মুখ্যমন্ত্রী।"
আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থর পর গোটা মন্ত্রিসভার অপসারণ চাইলেন সেলিম
মিছিল যখন ধর্মতলার মোড়ে আসে তখন সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবির সামনে 'চোর চোর' বলে স্লোগান গান দিতে দেখা যায় বিজেপি সমর্থকদের । বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "এই বিপুল পরিমাণ টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একার হতে পারে না । এই টাকা পার্থর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসেরও টাকা । তৃণমূল কংগ্রেস এই টাকা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রেখেছে । তার একটা অংশ মাত্র বেরিয়েছে । যদি তদন্ত ঠিক মত হয় তাহলে আরও রাঘববোয়ালের কাছে এর চেয়েও বেশি অঙ্কের টাকা আমরা দেখতে পাব । কাল দেখা গিয়েছে ভোট গণনার মতন টাকার গণনা চলছে । আমি মনে করি অবিলম্বে প্রকাশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত । আদালতের উচিত অবিলম্বে আরও এই জাতীয় মামলায় যারা যুক্ত আছে তাদেরও বিভিন্ন সম্পত্তির খোঁজ করা হোক । আরও বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হবে ।"
ধর্মতলার সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার