কলকাতা, 27 জুলাই: বাংলাকে দেশের ধর্ষণের রাজধানী বলে উল্লেখ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ বুধবার গভীর রাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো বার্তায় এ কথা বলেন তিনি ৷ এই ভিডিয়ো পোস্ট করে তিনি লেখেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে ধর্ষণের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে বাংলা ! উনি নিজের ঘর না দেখে, পরের ঘরে উঁকি মারছেন ৷"
মণিপুর ইস্যুতে তোলপাড় সংসদের বাদল অধিবেশন ৷ ইন্ডিয়া জোট বারবার সংসদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছে ৷ এ নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরাও ৷ মণিপুর নিয়ে তৃণমূল যখন ঝড় তুলেছে, তখন রাজ্যের কোচবিহারে একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন বঙ্গ বিজেপির এই সভাপতি ৷
তিনি বলেন, "একটি নাবালিকা মেয়ে চারজন দুষ্কৃতীর দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে ৷ সে জীবন মরণের সঙ্গে লড়াই করছিল ৷ তার মৃত্যু হয়েছে ৷" সুকান্ত আরও জানান, এই ঘটনার পর গ্রামের লোক ক্ষিপ্ত ৷ তারা এই প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে পারছে না ৷ কোচবিহারের পাশাপাশি তিনি মালদায় একটি ধর্ষণের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন ৷
আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর খুন কলেজ ছাত্রীকে, পিংলার ঘটনায় দুই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা
এই পরিস্থিতিতে মণিপুর নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এই রাজ্য রেপ ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া হয়ে গিয়েছে ৷ বাংলার তৃণমূল নেতারা মণিপুর নিয়ে চিন্তা করছেন। তাঁরা নিজের ঘর সামলাতে পারছেন না অথচ অন্যের ঘরে গিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছেন ৷" ঠিক যেদিন সুকান্ত বাংলাকে দেশের ধর্ষণের রাজধানী বলে অভিহিত করেছেন সেদিনই তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'য় দেশের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরে জাতীয় মহিলা কমিশনে মহিলাদের উপর নির্যাতনের মোট 16 হাজার 370টি অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যা মাত্র 342টি ৷ তবে বিজেপি শাসিত যোগী রাজ্য থেকে 9 হাজার 45টি অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ সবমিলিয়ে নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে শাসক ও বিরোধী দলের তরজা চলছেই।
আরও পড়ুন: নির্যাতিতা নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত কোচবিহার, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
প্রসঙ্গত, মণিপুরে কুকি সম্প্রদায়ের দুই তরুণীর উপর নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ৷ অশান্ত মণিপুর নিয়ে সংসদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে সরব ইন্ডিয়া জোট ৷ বুধবার লোকসভায় বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের 26টি দলের হয়ে কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ অনাস্থা প্রস্তাব আনার নোটিশ পেশ করেছিলেন ৷ তা গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷ এছাড়া বিআরএসের সাংসদ নাগেরশ্বর রাও এ নিয়ে নোটিশ দেন ৷ কবে অনাস্থার ভোটাভুটি হবে, তা এখনও জানাননি অধ্যক্ষ ৷