সুকন্যা গ্রেফতারের পরই কটাক্ষ সুকান্তের কলকাতা, 26 এপ্রিল:অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারির খবরে নিজের ভবিষ্যৎবাণী মনে করালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ বুধবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ৷ এরপরই রাজ্য বিজেপি সভাপতি কার্যত কটাক্ষের সুরে বলেন, "আমার ভবিষৎবাণীই সত্যি হল।"
গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ প্রায় আট মাস জেলবন্দি তিনি ৷ শুধু তাই নয়, শেষে আসানসোল জেল থেকে দিল্লির তিহাড়ে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রতর ৷ তারপরই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর হিসাব পরীক্ষক মণীশ কোঠারীকেও ৷ ডেকে পাঠানো হয়েছিল কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে । তবে পরপর তিনবার ইডির নোটিশ ফিরিয়েছেন সুকন্যা ৷ শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই বিষয়ে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমি আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম যে সময়ের অপেক্ষা। কারণ ইডি এবং সিবিআই তাঁকে (সুকন্যা মণ্ডল) বারবার ডেকেছে। কিন্তু ডাকার পরও তাঁর থেকে সহযোগিতা মেলেনি । শুধু একবারই গিয়েছিলেন । বারবার উচ্চ আদালতে গিয়ে তলব এড়াবার চেষ্টা করেছেন। তাই ইডি বাধ্য হয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করতে।"
প্রসঙ্গত, অনুব্রতর মতোই গরু ও কয়লাপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুকন্যাকে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ পর্বগুলিতে প্রথম থেকেই আধিকারিকদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন সুকন্যা মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ এড়াবার পর এদিন তিনি দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কমেনি হামলা, কৌশল পরিবর্তন করেছে মাওবাদীরা; দাবি কেন্দ্রীয় বাহিনীর
এরপরই সুকান্ত বলেন, "তাঁর (সুকন্যা মণ্ডল) এত বিপুল সম্পত্তি থাকতে পারে না। ঠিক একইভাবে অনুব্রত মণ্ডলের রোজগারের কোনও হদিশ না পেলেও, তাঁর বিপুল সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। আয়ের অধিক সম্পত্তি থাকলে তো তাঁকে উত্তর দিতেই হবে। জনতাও উত্তর চাইছে। কোথা থেকে এত সম্পত্তি আসল ?" পাশাপাশি গরু বা কয়লাপাচারের মত কাজ করতে হলে একটা বড় চক্রের সঙ্গে মিলে এবং সেই চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে কাজ চালাতে হয় বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, এক্ষেত্রে পুলিশ থেকে অন্যান্যদেরও হাতে রাখতে হয়। আর অনুব্রত মণ্ডল একজন জেলা সভাপতি মাত্র। একজন জেলা সভাপতির পক্ষে একা এতটা কাজ করা সম্ভব নয়। সুকান্ত মজুমদার বলেন, "কালীঘাটের নেতারাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই মাথারা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এই বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না। এরপর তিহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি করবেন।"