কলকাতা, 27 অক্টোবর: যত চোরেরা গ্রেফতার হচ্ছে, তত চোরের রানির ছটফটানি বাড়ছে । বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সরকারকে ৷ দুর্নীতি কাণ্ডে শাসকদলের মন্ত্রী-বিধায়কের গ্রেফতারির টাইমলাইন তুলে ধরে তিনি বলেন, এরপর হয়তো মন্ত্রিসভার বৈঠক ও বিধানসভার অধিবেশন জেলের মধ্যেই ডাকতে হবে ।
রেশন দুর্নীতি মামলায় বাড়িতে তল্লাশি ও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ ভোররাতে গ্রেফতার হন বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । এরপরেই এই নিয়ে শাসকদলকে তুলোধোনা করতে শুরু করে বিরোধীরা ৷ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে শাসক দলের কোন কোন হেভিওয়েট মন্ত্রী-বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন, তার টাইমলাইন নিজের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি তাঁর এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলে লেখেন, "এর পর হয়তো মন্ত্রিসভার বৈঠক ও বিধানসভার অধিবেশন জেলের মধ্যে ডাকতে হবে ।"
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই নিয়ে টুইট করে দুর্নীতি কাণ্ডে আরও বড় মাথাদের দিকে ইঙ্গিত করেছেন । তিনি লেখেন, এ বার রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আসল মাথা ধরা পড়েছে । সত্য সামনে আসেই । এছাড়াও তিনি লেখেন, "কান এলো, এ বার আসবে মাথা..৷"
এ ছাড়াও এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেছেন, "অনেক আগেই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল । যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বা রাজত্ব বাকিবুরের কাছে পাওয়া গিয়েছে, এই সম্পত্তি কার বা কার নামে আছে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন । যত চোর অ্যারেস্ট হচ্ছে তত চোরের রানির ছটফটানি বাড়ছে । এ বার কান এসেছে আগামী সময় মাথাও আসবে ।"
সুকান্ত আরও বলেছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী চাকরি করতেন বা ব্যবসা করতেন যে এই কয়েক বছরের মধ্যে এত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে গেলেন তার তদন্ত হওয়া উচিত । তিনি একটি বাড়ি কিনেছিলেন এক কোটি টাকায় এবং তা রং করেছিলেন নাকি 86 লক্ষ টাকায় ৷ এরাই তো তাহলে গরিব মানুষের 100 দিনের টাকা দিয়ে দিতে পারেন । বিজেপি মনে করে, 100 দিনের টাকা সব এঁদের অ্যাকাউন্টেই ঢুকেছে এবং এঁরাই সব টাকা চুরি করেছে ।