কলকাতা, 4 জানুয়ারি: টালবাহানার পর অবশেষে মাঝরাতে জোকার ইএসআই হাসপাতালে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারল ইডি। বুধবার রাত 12টা 52 মিনিটে প্রথমবার কণ্ঠস্বরের নমুনা দেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। নমুনা সংগ্রহের পর আবারও সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ফিরিয়ে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে ৷
প্রথমেই কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে যে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছিল সেই মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন। তাঁকে ফিট দেখানোর পরেই কণ্ঠস্বরে নমুনার পরীক্ষা শুরু হয়। একাধিকবার 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর এই চিকিৎসক দলের মধ্যে ছিলেন একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞ।
ইডির অভিযোগ, রাজ্যের একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দিয়ে 'কালীঘাটের কাকু', তাঁর নিজের ফোনের একাধিক তথ্য 'ডিলিট' করিয়েছিলেন। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এজেন্টদের মাধ্যমে তিনি যে টাকা পয়সা নিতেন এবং তাঁদের সঙ্গে যে কণ্ঠস্বরের তথ্য প্রমাণ তদন্তকারীরা পেয়েছিলেন, সেই ফোন রেকর্ডের কণ্ঠের সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখার জন্যই এই পরীক্ষা। বুধবার প্রায় ভোররাতে 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের কাজ অবশেষে সম্পূর্ণ হয় বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত 30 মে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরেই তিনি শারীরিক অসুস্থতাকে সামনে তুলে ধরে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তির আবেদন জানাতে থাকেন। এর মাঝে তিনি একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ তখন তাঁর হার্ট সার্জারিও হয়। প্রায় সাড়ে চার মাস এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু।