কলকাতা, 14 ডিসেম্বর:বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) অচলাবস্থা নিয়ে এবার মুখ খুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) ৷ বিশ্বভারতীর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty) এবং তাঁকে যাঁরা নিয়োগ করেছিলেন, তাঁদেরই কাঠগড়ায় তুললেন এই প্রবীণ রাজনীতিক ৷
উল্লেখ্য, গত এক পক্ষকালেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবন পূর্বিতার কিছুটা দূরে মঞ্চ বেঁধে ধরনার দিচ্ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা ৷ বেশ কয়েক দফা দাবিদাওয়া সামনে রেখে তাঁদের এই আন্দোলন চলছিল ৷ কিন্তু, মঙ্গলবার রাতে সেই ধরনামঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয় ৷ এর জন্য উপাচার্য এবং তাঁর অনুগামীদেরই দায়ী করছেন আন্দোলনকারীরা ৷
আরও পড়ুন:‘ক্ষমা করব না’, জমি বিতর্কে নাম না-করে অমর্ত্য সেনকে নিশানা উপাচার্যের
বুধবার এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুজন বলেন, "বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল দেখতে পাচ্ছেন ! রবীন্দ্রনাথের নিজের প্রতিষ্ঠান ৷ দেশ, দুনিয়া সেই সম্মানের সঙ্গে দেখে ৷ একেবারে সর্বনাশ করে দিল ! বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বনাশ করে দিলেন একজন ভিসি ! যাঁর রবীন্দ্র অনুরাগী মন বলে কিছু নেই ৷ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দিলেন না ৷ সমগ্র পদ্ধতিটিকেই ভেঙে দিচ্ছেন ৷ খুব খুব খারাপ হচ্ছে ৷ পড়াশোনা ও পরীক্ষায় বসার জন্য আদালতে যেতে হচ্ছে ! শিক্ষকদের মানব না ৷ কর্মচারীদের মানব না ৷ পড়ুয়াদের মানব না ৷ আমিই সব ! এই মনোভাব নিয়েই চলছেন ৷ এই ভিসিকে যাঁরা নিয়োগ করেছেন, তাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংস করার জন্যই নিয়োগ করেছেন ৷ সমগ্র কলুষতার জন্য দায়ী এই ভিসি ৷ একইভাবে দায়ী তাঁরা, যাঁরা এই ভিসিকে নিযুক্ত করেছেন ৷"
এছাড়াও, এদিন সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু নিয়েও সরব হন সুজন ৷ তিনি বলেন, " বগটুই কাণ্ডে এতজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হল ৷ যিনি মূল অভিযুক্ত, তাঁকে ধরতেই 9 মাস লেগে গেল ! ধরা পড়ার পর তিনি মারা গেলেন ৷ আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে এখন দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে ৷ এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে ৷ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চলবে না ৷ এই তদন্তের অর্থ হল, দিল্লি-রাজ্যের পারস্পরিক খেলা ৷ এই খেলা দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি ৷ নানারকম কাণ্ডকারখানা আছে ৷"