বারুইপুর, 6 অগস্ট:শনিবার বারুইপুরে সিপিএমের পার্টি অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা করতে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দেশের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজে থেকেই নিজের নাম ঘোষণা করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Sujan Chakraborty criticises Mamata Banerjee)।
তাঁর কথায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফর করার মূল কারণ হচ্ছে নিজেদের দলের নেতা-কর্মীদের সিবিআই ও ইডির হাত থেকে বাঁচান। যেভাবে একের পর এক দুর্নীতিতে মুখ পুড়ছে দলের, এছাড়া তো উপায় নেই। সুজন চক্রবর্তী আরও জানান, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান সঠিক নয়। ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ না করে আখেরে বিজেপির হাত শক্ত করছে তৃণমূল। রাজ্যের কলেজগুলিতে কোনও নির্বাচন হয়নি, তা সত্ত্বেও কলেজ ভর্তির সময় ছাত্র পরিষদের নাম করে টাকা নিচ্ছে তৃণমূল। যে কটি কলেজে নির্বাচন রয়েছে সেই কলেজে নিজেদের দখলদারি চালাচ্ছে তৃণমূলের লোকেরা।
শিশির অধিকারী প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, "তৃণমূল-বিজেপি, এখন সবই এক ৷ কাল যে তৃণমূলে আজ সে বিজেপিতে ,আজ যে বিজেপিতে কাল সে তৃণমূলে। অর্জুন সিং আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সাংসদ কিন্তু সে এখন তৃণমূলে। আবার উলটো দিক থেকে অধিকারী পরিবারের শিশির অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ। কে তৃণমূলের কে বিজেপি এ রাজ্যে বোঝাই যায় না! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের মিটিংয়ে অনুপস্থিতি থাকেন। আর এখন নিজে বাঁচতে দিল্লি ছুটেছে। এখন সকলের কাছে সবই পরিষ্কার। তৃণমূল ডুবতে বসেছে, বাঁচার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফর।"
আরও পড়ুন:মোদি-মমতা বৈঠকের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর ! রাজ্য়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, "মানুষ সবকিছু এখন জানতেও পেরেছে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যেভাবে নাম জড়িয়ে পড়েছে তাতেই বলা যেতেই পারে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঘাসফুল শিবির। দুর্নীতিতে যেভাবে একের পর এক দলের নেতা-কর্মীদের কার্যকলাপ প্রকাশ্যে আসছে তাতে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। দলকে দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচাতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল করা হয়েছে।"