কলকাতা, 25 নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক অহি-নকুল হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা নির্দিষ্ট প্রয়োজনে কেন মুখোমুখি বৈঠকে বসেন, তার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না প্রবীণ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) । দিল্লি সফরে গিয়ে গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন (CM Mamata Banerjee meets PM Narendra Modi) ৷
প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক (PM and CM Meet)
এই বৈঠককে কটাক্ষ করে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী দেখা করবেন, কথা বলবেন, পারলে ঘন ঘন দেখা করবেন ৷ এটা তো সঙ্গত ।" যে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রাজি ছিলেন না বা জেলে পুরব বলে বাইরে বলে বেড়ান অথবা প্রধানমন্ত্রীও এক ধরনের কথা বলে বেড়ান । হঠাৎ তাঁরা দু'জন ঠিক কিন্তু নির্দিষ্ট প্রয়োজনের সময় একসঙ্গে বসেন কেন,এটা একটা রহস্য এবং ধন্দ বললেন প্রবীণ বামনেতা । (Sujan Chakraborty mocks at PM Modi and CM Mamata Banerjee Delhi meet)
প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারকে ব্যঙ্গ করে বলেন, "এখন কী কাণ্ড, আর যেন সিবিআই বেশি ঝামেলা না করে । ফেঁসে যেন না যাই, প্রায় ফেঁসে যাচ্ছে । বাঁচান । আর্তনাদ ৷ আর উল্টো দিকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমিও তো ডুবতে চললাম বলে । এই কৃষক আইন আমাকে প্রত্যাহার করতে হচ্ছে ।" একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কোনও আইএসএস অফিসার, ফাইলপত্র না থাকা নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ জেগেছে । তাই সুজন এই বৈঠককে "ব্যক্তিগত কানাকানি, গোপনে গোপনে ফিসফিসানি । ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রয়োজন ৷ এর সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের কোনও যোগ নেই" বলেন ৷
রাজীব কুমার (Rajib Kumar)
এই বৈঠকের সঙ্গে রাজীব কুমারের প্রসঙ্গ জড়িয়ে আছে বলে মনে করেন সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty on Rajib Kumar) ৷ তিনি বলেন, "রাজীব কুমারকে সিবিআই তাড়া করছে নাকি, রাজীবকুমার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন । কান টানলে মাথা আসবে, মাথা বুঝে গেল বড্ড বিপদ । তাই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক ।"
আরও পড়ুন : Mamata informs Modi about Tripura Violence : ত্রিপুরায় হিংসার বিষয় মোদিকে জানালেন মমতা