পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Jul 30, 2020, 2:06 PM IST

Updated : Jul 30, 2020, 2:30 PM IST

ETV Bharat / state

"সোমেন আমাদের বহুবার প্রাণে বাঁচিয়েছেন"

গতরাতে মারা গেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র ৷ তাঁর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে রাজ্য রাজনীতির ৷ বললেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ৷ স্মৃতিচারণা করলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷

subrata-mukhopadhyay-and-sovondeb-chattopadhyay-pay-gratitude-for-somen-mitra
প্রয়াত সোমেন মিত্রকে নিয়ে স্মৃতিচারণে সুব্রত ও শোভনদেব

কলকাতা, 30 জুলাই : প্রয়াত সোমেন মিত্র ৷ '70-এর দশকে প্রদেশ কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ নাম ছিল প্রিয়-সুব্রত ও সোমেন ৷ কীভাবে সেই দিনগুলি কেটেছিল তা নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷

আজ তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বর্ষীয়ান নেতা ও বর্তমান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমি আর প্রিয়দা যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করছি, তখন সোমেনের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছিলাম । আমরা তো মফঃস্বলের ছেলে ছিলাম । সে সময় নকশাল আন্দোলন চলছে । প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু-ভয় । সোমেন আমাদের বহুবার প্রাণে বাঁচিয়েছেন । আমরা একসঙ্গে কংগ্রেস করেছি । এক সঙ্গে লড়াই করেছি, জেল খেটেছি । পুলিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি । আন্দোলন করেছি । দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের সৈনিক আমরা । প্রিয়দা আগেই চলে গেছেন । সোমেন চলে গেলেন । আমি বাস্তবিকভাবে খুবই মর্মাহত ।‌ "

একইভাবে সোমেন মিত্রকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "চরম শত্রুর সঙ্গেও উনি হেসে কথা বলতেন । তখন কেউ বুঝতে পারত না তাঁর সঙ্গে বিরোধ-বিচ্ছেদ রয়েছে। সোমেনদার চলে যাওয়াটা খুবই দুঃখের । দীর্ঘদিনের পরিচয় । সেই সত্তরের দশকে সোমেনদার সঙ্গে আলাপ । মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমাদের পাশে দাঁড়াতেন সোমেনদা । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে আমাদের অনেকভাবে সাহায্য করেছেন । '72-'73 সালে সোমেন মিত্রকে মধ্য কলকাতার যুব সভাপতি করার সময় আমরা প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিটিং করেছিলাম । তারপর কংগ্রেস ভাগ হয়ে গেল ৷ নতুন দলে চলে গেলেন সোমেনদা । আমরা মূল কংগ্রেসে প্রিয়দার সঙ্গে থেকে গেলাম । নির্দিষ্ট সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল সোমেনদার । পরবর্তীকালের রাজনীতিতে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন তিনি । যখন তিনি সভাপতি হয়েছেন তখন কংগ্রেসের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা । এই অবস্থায় দলকে ধরে রাখা খুব কঠিন । তবুও তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন‌ । দুঃখ লাগে যে তিনি কমিউনিস্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ৷ এটাতে খুশি হতে পারিনি । বিশেষ করে রাজ্য রাজনীতিতে । সোমেনদার চলে যাওয়াটা নিয়ে যদি আমরা রাজনীতি করি, তবে বিরাট ক্ষতি । সোমেনদার আত্মার শান্তি কামনা করি । যখনই দেখাও হত তখনই কথা হত আমাদের। বউদি ও তাঁর সন্তানদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ঈশ্বর যেন তাঁদের এই অভাব বা ক্ষতিপূরণ করার ক্ষমতা দেন । আমরা একজন প্রাগ্য, বুদ্ধিমান, সুন্দর ব্যবহারের মানুষকে হারালাম । এটা আমাদের রাজনীতির একটা বিরাট ক্ষতি । "

Last Updated : Jul 30, 2020, 2:30 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details