পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : Sep 22, 2019, 1:32 PM IST

ETV Bharat / state

ছাত্ররা ভুল করবে আর আমরা ক্ষমা করব, বাবুলের সমর্থনে লকেট

বাবুলকে সমর্থন জানালেন লকেট চ্যাটার্জি । তাঁর বক্তব্য, দেবাঞ্জনের মাকে যা বলেছেন তা ঠিক করেছেন বাবুল ।

লকেট চ্যাটার্জি

কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ABVP-র নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বাবুলের হেনস্থার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন তাঁর ছেলে । ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ছবিও । তাই ছেলের ভবিষ্যতের আশঙ্কায় হাতজোড় করে বাবুল সুপ্রিয়র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলা রূপালি বল্লভ । তাঁর উত্তর দিয়ে বাবুল টুইট করেছিলেন । লিখেছিলেন, "চিন্তা করবেন না মাসিমা -আমি আপনার ছেলের কোনও ক্ষতি করব না ।" বাবুলের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন BJP মহিলা মোর্চার নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি । বললেন, "ছাত্ররা একশো বার ভুল করবে । আর তাদের বার বার ক্ষমা করতে হবে আমাদের ।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ABVP -র নবীনবরণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় । কিন্তু সেখানে তাঁর চুল টেনে মারমুখী হয়ে উঠেছিল ছাত্ররা । তাতে যুক্ত ছিল দেবাঞ্জন বল্লভ । ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়েছিল । তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন দেবাঞ্জনের ক্যানসার আক্রান্ত মা রূপালি বল্লভ । উত্তরে বাবুল সুপ্রিয় টুইট করে তাঁকে চিন্তা না করার কথা জানান । আজ এই প্রসঙ্গে লকেট চ্যাটার্জিকে জিজ্ঞাসা করা হয় । লকেট বলেন, "বাবুল সুপ্রিয় ঠিক করেছেন । তারা ছাত্র । তারা ভুল করতে পারে । তারা একশো বার ভুল করবে । আর অভিভাবক হিসেবে ছেলেমেয়েদের আমরা যেভাবে বোঝাই তাদেরও বোঝাতে হবে । বার বার তাদের ক্ষমা করতে হবে । বার বার করে ভুল শুধরে দিতে হবে । নিশ্চয় বাবুল সুপ্রিয় খুব ভালো কাজ করেছেন । ভারতীয় জনতা পার্টির এটাই আদর্শ । আমরা ছাত্রদের কখনও মারি না । ছাত্ররা অন্যায় করলে আমরা ভুল শুধরে দিই । আবার আমরা সুযোগ করে দিই ।"

বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থার ঘটনায় অনেক রাজনৈতিক নেতাই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন । পুরো ঘটনাটাই বাবুলের নাটক বলে দাবি করেছেন তাঁরা । সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, "বাবুল সুপ্রিয় ওখানে কোনওরকমভাবে সিন ক্রিয়েট করেনি । যথেষ্ট ধৈর্য নিয়ে ওখানে বসে ছিল । অনেকবার ছাত্রদের বোঝানো হয়েছে । একবারের জন্য বাবুল সুপ্রিয় ধৈর্য হারায়নি । উলটোপালটা কথা বলেনি । যতটা আমরা TV-তে দেখতে পেয়েছি । তবে, অবশ্যই ছাত্রদের বলব যে তারা যেন ভবিষ্যতের কথা ভাবে । কারণ তাদের মা-বাবা অনেক আশা নিয়ে না খেয়ে মানুষ করে । তাদের মাথায় রাখতে হবে একদিন তারাও বড় হবে তখন যদি তাদের গায়ে এরকমভাবে কেউ হাত দেয় তাহলে তারা কীরকম অনুভব করবে । কিন্তু অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ দেওয়া উচিত । নতুন করে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুক ।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুলকে ওই পরিস্থিতি থেকে বের করে এনেছিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধনকড় । কিন্তু তাঁর এই বিষয়টিকে অনেকেই ভালো নজরে দেখেননি । সেই প্রসঙ্গে BJP নেত্রী বলেন, "উপাচার্য যদি পুরোপুরিভাবে হাল ছেড়ে দেন তাহলে কী করবে ? সেখানে রাজ্যপাল গেছিলেন বলেই সুরক্ষিতভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বের করে আনতে পেরেছেন । না হলে তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হত । এর আগেও ধরনায় বসেছিল ছাত্রছাত্রীরা । কিন্তু তা কেন হবে ? ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার জায়গায় পড়াশোনা করবে । তাতে রাজনীতি ঢুকবে কেন ? "

যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হেনস্থায় উপাচার্যের পুলিশ ডাকা উচিত ছিল । পুলিশ না ডেকে ভুল করেছেন উপাচার্য । এমনই বলেছেন তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখার্জি । তাঁর মন্তব্যের প্রশংসা করে লকেট বলেন, "সত্যিটাকে উনি সমর্থন করেছেন । আর যেহেতু ওঁর বোধোদয় হয়েছে তাই আমি ধন্যবাদ জানাই । " পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে কটাক্ষ করে বলেন, "উনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও ছাত্র থেকে উপাচার্য সব বিষয়ই তৃণমূলের চোখ দিয়ে দেখেন । যেহেতু এটা ছাত্রদের বিষয় তাই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হয়ে বিষয়টা দেখা উচিত । উনি বড্ড বেশি তাতে রাজনীতি ঢোকান ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details