কলকাতা, 16 ডিসেম্বর: পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে আত্মঘাতী যাদবপুর বিদ্যাপীঠের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। 17 বছর বয়সী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ প্রথম দেখতে পান তার মা ৷ সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ চিকিৎসকরা সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার গড়িয়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্রীর ঘর থেকে কোনও রকম সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে হতাশায় আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোন বিষয় থাকলেও থাকতে পারে ৷ ইতিমধ্যেই ছাত্রীর ব্যবহার করা ফোন এবং তার মায়ের ব্যবহার করা ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ছাত্রীর সহপাঠী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও কথা বলা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকদিন আগেই ওই ছাত্রীর বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকত দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া ৷ ফলে সংসার চালানোর জন্য মাকে বিভিন্ন সময় বাইরে কাজে বেরোতে হয়। যাদবপুর বিদ্যাপীঠে শুক্রবার একটি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে ৷ গতকাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সঙ্গেই একটি ফর্ম ফিলাপেরও কথা ছিল মৃত পড়ুয়ার। কিন্তু পরীক্ষায় পাশ করতে না পারায় সেই ফর্ম ফিলাপও করতে পারেনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরবেলা মা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফোন করে জানায় পরীক্ষায় সে পাশ করে গিয়েছে। সেই সময় তার মা, পড়ুয়াকে রেজাল্টের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলে। মায়ের সঙ্গে পড়ুয়ার সেটাই নাকি শেষ কথা ৷ এরপর ছাত্রীকে তার মা একাধিকবার ফোন করলেও পাওয়া যায়নি ৷ এদিন দুপুর একটা নাগাদ বাড়িতে ফিরে এসে তার মা দেখতে পান সদর দরজা বন্ধ রয়েছে। জোরে ধাক্কা মারতেই সদর দরজা খুলে যায় ৷ তখনই তিনি ঘরে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান ৷