কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি:কর্মরত অবস্থায় কোনও কর্মী মারা গেলে তাঁর পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) এই নিয়ম থাকলেও এই আইনের আওতায় গত 10 বছরে একটিও নিয়োগ হয়নি । তাই অবিলম্বে এই নিয়ম লাগু করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানাল ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (Calcutta University Employees Association) ৷
বুধবার এই সংগঠনটির তরফ থেকে জানান হয়েছে, এই দাবিতে 3 ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্যাম্পাসে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ 1983 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইউ কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্ত বা আইন অনুসারে, যদি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কর্মচারী চাকরিতে থাকাকালীন মারা যান তবে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য নিয়োগ পাবেন । অভিযোগ, তবে গত 10 বছরে অর্থাৎ 2012 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই আইনের আওতায় একটিও নিয়োগ হয়নি ।
এই প্রসঙ্গে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত বন্দোপাধ্যায় বলেন,"কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় কেউ প্রয়াত হলে তাঁর পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার যে কথা ছিল সেই প্রক্রিয়া দীর্ঘ দশ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে । 2012 সালের অগস্ট মাসের পর থেকে এই নিয়ম মেনে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে । যদিও এর কারণ আমাদের কাছে অজ্ঞাত । এই নিয়ে আমরা গত দশ বছর ধরে লাগাতার আন্দোলনের করে চলেছি । তবুও কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের টনক নড়েনি । তাই আগামী 3 ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্যাম্পাসে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: সাঁওতালি ভাষার পত্রপত্রিকার ডিজিটাল রূপদানে সাফল্য যাদবপুরের
সংগঠনের দাবি, এই নিয়োগ বন্ধ থাকার ফলে বঞ্চিত হচ্ছে 72টি অসহায় পরিবার ৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার এখনও কোনও লিখিত অনুমতি দেয়নি ৷ কিন্তু এত বছর এরকম কোনও লিখিত অনুমতির প্রয়োজন না হলেও এখন কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংগঠনটির তরফে ৷ তবে 3 তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগে ইন্টারনাল পরীক্ষা আছে ৷ এই ধর্মঘটের জেরে ওই পরীক্ষায় প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে ৷