পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

KP Vigilance in Ghats: মহালয়ায় তর্পণের আগে শহরের ঘাটগুলিতে কড়া নজরদারি পুলিশের - মহালয়া

তর্পণ (Tarpan) উপলক্ষে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদত্ত আধিকারিকরা ঘাটগুলি পরিদর্শন করেছেন ৷ রবিবার শহরের বিভিন্ন ঘাটে মোট আটটি স্পিডবোর্ড নিয়ে টহল দেবেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) রিভার ট্রাফিক পুলিশ ফোর্স ।

Strict vigilance by Kolkata police at ghats of city before Tarpan in Mahalaya
Strict vigilance by Kolkata police at ghats of city before Tarpan in Mahalaya

By

Published : Sep 24, 2022, 8:31 PM IST

কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর: রাত পোহালেই মহালয়া (Mahalaya) ৷ পিতৃপক্ষের অবসানে শহরের ঘাটগুলিতে শুরু হবে তর্পণ (Tarpan) । আর তর্পণকে কেন্দ্র করে শহরের ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুলিশ (Strict vigilance by Kolkata police at ghats) ৷ এর জন্য বেশ কয়েকটি ঘাটে ভোর থেকেই কর্তব্যরত থাকবে রিভার ট্রাফিক পুলিশ ফোর্স ।

জানা গিয়েছে, শহরের বাবুঘাট, আর্মেনিয়াম ঘাট, বিচালি ঘাট-সহ একাধিক জায়াগায় মোট আটটি স্পিডবোট নিয়ে টহল দেবেন কলকাতা পুলিশের রিভার ট্রাফিক পুলিশ ফোর্স । এর পাশাপাশি এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকেও । এবার ট্রাফিক পুলিশের স্পিডবোট ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের বাহিনীরাও বিভিন্ন ঘাটে মোতায়েন থাকবে । নদীতে একটি নির্দিষ্ট সীমানার পর আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না ।

পাশাপাশি তর্পণ চলাকালীন গঙ্গার ঘাটে কেউ যাতে তলিয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন রিভার ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা । তর্পণ উপলক্ষে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি ঘাটের তদারকি করেন ।

প্রসঙ্গত, রাজ্য তথা দেশজুড়ে মা গঙ্গার ঘাটে ঘাটে রবিবার পুরোহিত আর যজমান ৷ আর ফুল, মালা, ধূপ, চন্দন ৷ নতমস্তকে উত্তর পুরুষ ৷ ঠোঁটে বৈদিক মন্ত্র ৷ পিতৃপক্ষে স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা ও তর্পণের দিন রবিবার ৷ এ সময় যমালয় থেকে মর্ত্যলোকে আসেন পিতৃপুরুষেরা ! নিয়ম অনুযায়ী তাঁদেরকে তৃপ্ত করতে তিল, জল দান করা হয় ৷ তাঁদের যাত্রাপথকে আলোকিত করার জন্য হয় উল্কাদান ! এই সবের সঙ্গে না কি আসল যোগ প্রকৃত প্রথম পাণ্ডব কর্ণেরই !

মহাভারত অনুযায়ী, মৃত্যুর পর মহাবীর কর্ণের আত্মা স্বর্গে গেলে তাঁকে খেতে দেওয়া হয় সোনাদানা, ধনরত্ন ৷ কর্ণ অবাক হন ৷ তিনি দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে জানতে চান, ব্যাপার কী ? ইন্দ্র জানান, তুমি সারাজীবন সোনাদানা, ধনরত্নই দান করে এসেছ, পিতৃপুরুষকে জল দাওনি ৷ তাই তোমার জন্য এমন খাবারের ব্যবস্থা ৷ উত্তরে কর্ণ বলেন, এতে আমার দোষটা কোথায় ! পিতৃপুরুষের কথা তো জানতে পারলাম কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শুরুর আগের রাতে ৷ মা কুন্তি কিন্তু এসে জানালেন, যে আমি না কি তাঁরই ছেলে ৷ তারপর তো যুদ্ধ ৷ আপন ভাইয়ের হাতে মৃত্যু হল আমার ! পিতৃতর্পণের সময়টা পেলাম কোথায় !

আরও পড়ুন:স্মার্টফোন-টিভির ঝলমলে আলো, তবু মহালয়ার ভোরে 'শক্তিরূপেণ' রেডিয়ো

দেবরাজ ইন্দ্র বুঝলেন, প্রকৃতই কর্ণের দোষ নেই ৷ এরপরই তিনি কর্ণকে পনেরো দিনের জন্য মর্ত্যে ফিরে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিতে অনুমতি দেন ৷ ইন্দ্রের কথা মতো মর্ত্যে ফেরেন কর্ণও ৷ এক পক্ষকাল অবস্থান করেন, কথা মতো পিতৃপুরুষকে অন্নজল দানও করেন ৷ যার পর পাপস্খালন হয় কর্ণের ৷কর্ণ মর্ত্যে এসে যে পক্ষকাল থেকে পিতৃপুরুষকে অন্নজল দিলেন, তারই নাম হল পিতৃপক্ষ ৷ অর্থাৎ কি না কর্ণই পিতৃপুরুষের প্রতি তর্পণ করা প্রথম উত্তরপুরুষ ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details