কলকাতা, 8 মার্চ : মহিলা ক্রিকেটার এখন আর নতুন নয় । ঝুলন গোস্বামী বিশ্বসেরা হয়েছেন, রিচা ঘোষ অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি লিগ খেলছেন ৷ ভারতীয় মহিলা দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সের খবর কম বেশি সবাই রাখেন । কিন্তু উইকেটের পিছনে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মানুষটির পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা সচেতন আমরা ? থ্যাঙ্কলেস জব করেন, প্রচারের আলো নেই । অথচ পান থেকে চুন খসলেই মাঠের ক্রিকেটার থেকে গ্যালারির দর্শক সকলেই তাঁকে দোষারোপ করতে খড়্গহস্ত । এই রকম ধন্যবাদহীন কাজে আসার কারণ কী শুধুই ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা ? নাকি পেশার টান ।
ওরা তিনজন । বিনীতা রায় মৌলিক, বিউটি চক্রবর্তী, রাখী দাস ৷ বঙ্গ ক্রিকেটে এরাই প্রথম তিন মহিলা আম্পায়ার (Women Umpire of West Bengal) । ইডেনে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সদর দফতরে প্রয়োজনীয় কিছু কাজ করতে এসে বসন্তের বিকেলে একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দেখছিলেন । মাঠে প্রতিটি আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত কী হবে তাই নিয়ে চলছিল আলোচনা । সেই সময়ই ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হন এই তিন কন্যে ৷
আরও পড়ুন :Womens Day Special : শখের ড্রাইভিং থেকে চালকের আসন, নারী দিবসে মহিলা বাসচালকের কাহিনী
"ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা তো রয়েইছে । চোট-আঘাতের কারণে খেলা ছাড়তে বাধ্য় হই । খেলা ছাড়ার পরেও মাঠে থাকতে চেয়েছিলাম । ওই সময় প্রাক্তন ক্রিকেটার মিঠু মুখোপাধ্যায় আমাকে আম্পায়ারিংয়ে আসার কথা বলেন । মিঠুদির কথামতোই পড়াশোনা করে আম্পায়ারিংয়ের পরীক্ষা দেওয়া ৷ এরপর পাস করে ফ্রান্সিস গোমসের ক্রিকেটীয় নিয়ম-কানুন বোঝানো এবং উৎসাহ আজ আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে," বলছিলেন বিনীতা রায় মৌলিক (Womens Day Special) ।
বিনীতার কথার রেশ ধরে নিজেদের পক্ষে সওয়াল করেন আর বাংলার প্রথম মহিলা আম্পায়ার বিউটি চক্রবর্তী । তাঁর কথায়,"আগে আম্পায়ারিংয়ের পরীক্ষা শুধুমাত্র ছেলেদের জন্য হত । আমি যে বার পরীক্ষা দিয়েছিলাম সেবারই প্রথম মেয়েদের আম্পায়ারিংয়ের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় । আম্পায়ারিং কঠিন এবং ধন্যবাদহীন কাজ । তা সত্ত্বেও মিঠুদি উৎসাহ দিয়েছিল । খেলা ছাড়ার পরে আমি মাঠের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম । সেই থেকেই আম্পায়ারিংয়ে ।"
সাইমন টাফনেল এবং আলিমদারকে আদর্শ মানা বিনীতা বলেন, "চলতি বিশ্বকাপে ছ'জন মহিলা আম্পায়ার রয়েছেন । ওদের ম্যাচ পরিচালনা আমাদের অনুপ্রেরণা ।"