কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: রাজ্যে বেকার যুবকদের ও পরিযায়ী শ্রমিকদের তেলেভাজা বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর এই 'চপ শিল্প'-এর কনসেপ্টকে হাসির খোরাক করেছে বিরোধীরা ৷ তবে সেই 'চপ শিল্প' নামটি ধার করেই আয়ের রাস্তা খুলেছে কলকাতার সুরজিৎ সোমের ৷ নানা স্বাদের তেলেভাজা বিক্রি করে আয়-রোজগার ভালোই চলছে ৷ তবে নামের মাহাত্ম্যেই আর পাঁচটা খাবারের দোকানকে টেক্কা দিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে উঠেছে তাঁর দোকান ৷
যাদবপুর এইট বি মোড় থেকে সুলেখার দিকে কিছুটা এগোলেই কালো বোর্ডের উপর লাল দিয়ে লেখা একটি গ্লো সাইন বোর্ড চোখে পড়বে ৷ যেখানে লেখা রয়েছে একটি দোকানের নাম, 'চপ শিল্প'। আজ্ঞে হ্যাঁ । বাঙালির অতি প্রিয় তেলেভাজা ও চপের দোকান । চপ ও তেলেভাজার দোকানের নামে এমন নতুনত্ব দেখে স্থানীয়রা তো বটেই, দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসছেন দোকানের নামের টানে । শুধু নামেই বাজিমাত করছে এখানকার চপ-কাটলেট । রমরমিয়ে বিকোচ্ছে বিভিন্ন স্বাদের তেলেভাজা ।
দোকানের মালিক সুরজিৎ সোম জানান যে, এই চপের দোকানটি নতুন । রাখিপূর্ণিমার দিনে শুরু হয়েছে চপ শিল্প । 'খাদ্য শিল্প' নামে অনেক আগে থেকেই শিলিগুড়িতে একটি দোকান রয়েছে। তবে চপ শিল্প নামকরণের পুরো ক্রেডিটই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে চান সুরজিৎ । ইতিমধ্যেই এই 'নামটি' বেশ ভাইরাল হয়েছে। এই একই নামে বাঘাযতীন এবং এয়ারপোর্টের দিকে আরও দুটি দোকান খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সুরজিতের ।
তিনি এও জানান যে, এই নামটি রাখার সময় অনেকে যেমন হাসি ঠাট্টা করেছিল, অনেককে আবার সাধুবাদও দিয়েছিল । তবে তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন যে, নামে চমক দেওয়ার পাশাপাশি খাবার-দাবারের মানও ঠিক রাখতে হবে ৷ তাঁর দোকানের নামের মহিমা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক দফতর পর্যন্ত । কিছুদিন আগেই নবান্ন থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল বলে জানান সুরজিৎ । তাঁর দোকান সম্পর্কে জানতে চান নবান্নের আধিকারিকরা ৷ তাঁরা জানতে চান যে, দোকানে কী কী জিনিস রাখা হয় ৷