কলকাতা, 24 জুন: জন্মের সময় ছিল না মূত্রথলি। 2014 সালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয় মূত্রথলি ৷ এবার তাতেই দেখা গেল বিশাল একটি পাথর। যার ওজন দেখে রীতিমত হতবাক চিকিৎসকরা। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে এমন ঘটনা সামনে এসেছে ৷ মালদহের এক 10 বছরের নাবালকের মূত্রথলি থেকে বের করা হল 400 গ্রাম ওজনের পাথর ! সফল হল জটিল অস্ত্রোপচার।
2014 সালে জন্মের সময় মালদহের বাসিন্দা ওই নাবালকের মূত্রথলি ছিল না ৷ অস্ত্রোপচারের দ্বারা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছিল মূত্রথলি। তবে আচমকাই নাবালকের ইউরিনারি ট্র্যাক্টে সমস্যা দেখা দেয়। শুরু হয় চিকিৎসা। শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়ছিল মালদহের মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে ইউএসজি-র পাশাপাশিই একাধিক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ৷ তারপরেই মূত্রনালিতে ধরা পড়ে বিশাল ওজনের একটি পাথর। যার জেরেই সংক্রমণ ইউরিনে ৷
এরপর শুক্রবার বিভাগীয় প্রধান ডাঃ সুজয় মৈত্র এবং আরএমও ডাঃ মিত্রজিৎ মল্লিক ওপেন সার্জারি করে পাথর বের করেন। পাথরের নমুনা বায়োপসি এবং অন্যান্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অপারেশন পরবর্তী সময়ে কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা দেখতে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রেখে তারপর ওই কিশোরকে ছুটি দেওয়া হবে। মূত্রথলিতে 400 গ্রাম ওজনের পাথর দেখে হতবাক চিকিৎসকরা ৷
আরও পড়ুন:মহিলার পেট থেকে বেরোল 4 কেজির জেলি, জটিল অস্ত্রোপচার নীলরতনে
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মূত্রনালিতে পাথর হওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে। পেটের ওপরের অংশে বা পিঠের দিকে ব্যথা, সঙ্গে জ্বর, বমি ইত্যাদি মূত্র তন্ত্রে পাথরের লক্ষণ। এর সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ থাকে। যেমন বারবার প্রস্রাবের রাস্তায় যদি ইনফেকশন হয়, অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু ইনফেকশন ভালো হয় না। তখনই পরীক্ষা করা হয় পাথর আছে কি না। ছোট আকারের পাথর, ওষুধের মাধ্যমে গলিয়ে দেওয়া যায় ৷ তবে বড় আকারের পাথর হলে তা অস্ত্রোপচার করেই বের করতে হয় ৷ এ ক্ষেত্রে নাবালকের মূত্রথলিতে পাথরের সাইজ বড় হওয়ায় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক ৷