কলকাতা, 15 অক্টোবর: চলতি সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডের জামতারা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে এই রাজ্যে পাচারের অভিযোগে মোহাম্মদ ইমতিয়াজকে আগেই কলকাতার সিঁথির মোড় থানায় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force of Kolkata Police)। তাকে জেরা করেই এবার একেবারে অস্ত্র কারখানার আঁতুড়ঘরে পৌঁছে গেল কলকাতা এসটিএফ (Kolkata Police Finds an Arms Factory in Jamtara)। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার এই অস্ত্র কারখানা থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করে এসটিএফ।
লালবাজার সূত্রে খবর, গত 13 অক্টোবর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা মোহাম্মদ ইমতিয়াজ নামে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে সিঁথির মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে । তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একাধিক উন্নতমানের আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিশেষ করে একটি অত্যাধুনিক কারবাইন । তাকে জেরা করে জানা যায়, জামতাড়ার সঠিক কোন কারখানা থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বানানো হয় এবং কারা বরাত দেয় ।
আরও পড়ুন:লেদ কারখানার আড়ালে বেআইনি অস্ত্র কারখানা, ধৃত 1
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম নগর পাল জানিয়েছেন, ধৃতকে জেরা করে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার একটি অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া যায় । দেরি না করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ট কোর্সের একটি ইউনিট রাতে গিয়ে পৌঁছয় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার সেই অস্ত্র কারখানায় । এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা । পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কারখানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অস্ত্র বানানোর একাধিক অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, মেশিন, লেদ মেশিন এবং পাইপ-সহ বিপুল পরিমাণের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্সের আধিকারিকরা । লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে এখনও কলকাতা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে এবং এই ঘটনায় যুক্ত থাকা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করে রীতিমতো জিজ্ঞাসাবাদ করছেন লালবাজারে গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন:মিনি রকেট লঞ্চার সহ অস্ত্র কারখানা, ঢোলাহাটে ধৃত 2
রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল এই জামতাড়া গ্যাং । মাঝেমধ্যেই শহরের আনাচে-কানাচে থেকে উদ্ধার হয় একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং সেই সকল আগ্নেয়াস্ত্র বানানো হয় জামতারার এই সকল অস্ত্র কারখানায় । লালবাজারে গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তাদের ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন রয়েছে যারা জামতারা দলের সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত এবং তাদের অস্ত্র কেনার জন্য বিপুল অংকের টাকার বরাত দেওয়া হয় ।