কলকাতা, 1 এপ্রিল:রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বাধীন এই কমিটিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল ৷ এই কমিটির রিপোর্ট তথা মতামতের ভিত্তিতেই রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে 4 বছরের স্নাতক ডিগ্রি কোর্স চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷ সেই কমিটি ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে ৷ সেই বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, রাজ্যের বাকি সব বিশ্ববিদ্যালয়েগুলির কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে যে 2023-24 শিক্ষাবর্ষে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য তাঁরা আদৌ প্রস্তুত কি না ? যদি তারা প্রস্তুত না হয়, তাহলে কেন তারা প্রস্তুত নয়, কিংবা তাদের কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, তা কমিটিকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে ৷ এমনকী যদি কারও মনে হয় জাতীয় শিক্ষানীতিতে পরিবর্তন বা সংস্কার দরকার, তাহলে সেটাও কমিটিকে জানানো যেতে পারে ৷ তবে, এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সারতে হবে আগামী 15 দিনের মধ্যে ৷ অতএব, 15 এপ্রিলের মধ্যেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই বিষয়ে তাঁদের মতামত জানিয়ে দিতে হবে ৷ ইতিমধ্যেই এই মর্মে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন ৷
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণে বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন কমিশনের (ইউজিসি) তৈরি 'কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক ফর আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম' শীর্ষক গাইডলাইনটি গত 17 মার্চ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর ৷ স্নাতকস্তরের পঠন-পাঠনে আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ রয়েছে ইউজিসির এই গাইডলাইনে ৷ যার মধ্যে অন্যতম হল, স্নাতকস্তরে অনার্স ডিগ্রি পেতে হলে পড়ুয়াকে 3 বছরের বদলে 4 বছর পড়াশোনা করতে হবে ৷ রয়েছে 'মাল্টিপল এন্ট্রি-এগজিট'-এর সুবিধাও ৷ যে ব্যবস্থায় এক-দুইবছর পড়াশোনা করে কলেজ ছেড়ে দিলেও তা বৃথা যাবে না ৷ ন্যূনতম 'ক্রেডিট স্কোর'-এর শর্ত পূরণ করে মিলবে শংসাপত্র বা ডিপ্লোমা ৷ ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট কোর্সটি সম্পূর্ণ করার সুযোগ থাকবে ৷